বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে

নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার খাদ্য ভান্ডার ও আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত সাপাহার উপজেলায় এবারে কৃষকের বাগানে বাগানে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিটি বাগানে যে হারে মুকুল এসেছে কোন রকম বালাই ছাড়া আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারে আমের বাম্পার ফলন হতে পারে বলে একাধিক বাগান মালিকসহ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে। বাগান মালিকগন এখন থেকেই সকল প্রকার কীট পতঙ্গের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে বাগানে মুকুলেই কীটনাশক স্প্রে করে চলেছে। গাছে আমের মুকুল দেখে প্রতিটি বাগান মালিক নাওয়া খাওয়া ছেড়ে এখন থেকেই বাগানে সময় কাটাতে শুরু করেছেন।
সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসের সহ: উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আতাউর রহমান সেলিম সহ কৃষি বিভাগের সকল মাঠ কর্মকর্তাগণ, হাইজিনিক পদ্ধতিতে প্রতিটি আম ব্যাগিং, বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে ও পরিমিত পরিমাণ কীটনাশক স্প্রে করে আম চাষের জন্য বাগান মলিকদের পরামর্শ দিয়েছেন। সে মতে অনেক বাগান মালিক এখন থেকেই তাদের বাগানগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সহ কীটনাশক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছেন। কোন কারণে আমের বাজারে দরপতন ঘটলে সাপাহার উপজেলার আমচাষীগন অপুুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। তাই তারাও উপজেলাবাসী ব্যক্তিগত উদ্যোগ কিংবা সরকারী ভাবে অচিরেই উপজেলায় একটি জুস জেলীর কারখানা বা একটি বৃহত্তম আম সংরক্ষণাগার/হিমাগার নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে।
সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার এএফএম গোলাম ফারুক হোসেন জানান, এবারে উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল সহ বিভিন্ন জাতের তৈরীকৃত আম বাগান থেকে প্রায় ৬৮ হাজার মে. টন আম উৎপাদন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ