শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনার বিদ্যুতের অযৌক্তিক চার্জযুক্ত ও ভুতুড়ে প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবি

খুলনা অফিস : ওজোপাডিকোর ইতোপূবের্র ৪০ হাজারসহ নতুন দেড় লক্ষ প্রিপেইড মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে খুলনা নাগরিক সমাজ। সোমবার বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসানের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে খুলনায় বিদ্যুতের ৪০ হাজার প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে। মিটার ভাড়া, ডিম্যান্ড চার্জসহ বিভিন্ন খাতে অযৌক্তিক চার্জ কেটে নেয়া হচ্ছে। কার্ড কেনার ভোগান্তিসহ এ মিটারের কারিগরি বিষয় গ্রাহকদের পুরোপুরি জ্ঞানের বাইরে। পুনরায় নতুন করে দেড় লক্ষ প্রিপেইড মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে রয়েছে নানা রকম টেকনিক্যাল বিষয়, যা গ্রাহকদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে কোম্পানির দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট জানতে চাইলে তারাও অনেক কিছু সদুত্তর বা সমাধান দিতে পারেন না। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এ প্রিপেইড মিটারে জ্বালানি চার্জের অপব্যবহার হচ্ছে বলে ধারণা।
বলা হয়েছে ইতোপূর্বে ৪০ হাজার মিটার বসানোর সময় বলা হয়েছিল গ্রাহকদের নিকট হতে মিটার বাবদ কোনো টাকা নেয়া হবে না। কিন্তু প্রিপেইড কার্ডে প্রতি মাসে ৪০ টাকা করে মিটার ভাড়া কেটে নেয়া হচ্ছে। পূর্বের পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্লাব অনুসরণ করা হলেও এক্ষেত্রের তা হয় না বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কার্ড বিক্রয়ের আউটলেট খুবই সীমিত। বিক্রির সময় ঘণ্টাও সীমিত। ফলশ্রুতিতে গ্রাহকদের লম্বা সারিতে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হতে হচ্ছে। তার উপর বিভিন্ন সময় কর্মরত-কর্মচারীরা গ্রাহকদের সমস্যা তোয়াক্কা না করে হঠাৎ করে কাউন্টার বন্ধ করে কাউন্টার ত্যাগ করে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয় আমরা অবশ্যই প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের পক্ষে। কিন্তু প্রযুক্তিগত সেবার নামে তথাকথিত সেবা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে অন্ধকারে রেখে আর্থিক বোঝা ও ভোগান্তি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। স্মারকলিপিতে ইতোপূর্বে বসানো ৪০ হাজার মিটারসহ নতুন করে দেড় লক্ষ মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীকে সদয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আ ফ ম মহসীন, সদস্য সচিব এডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান-১ হাছিবুর রহমান হাছিব, মহাসচিব এম এ কাশেম, শিক্ষক নেতা নিতাই পাল, নিসচার জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মুক্তিযোদ্ধা, রোটা. হোসাইন মো. ইউছা ওয়ায়েজ আররাফী নাজু, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব আফজাল হোসেন রাজু প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ