ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মারা গেছেন

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী, ব্রিটিশ পদার্থবিদ অধ্যাপক স্টিফেন হকিং মারা গেছেন।আজ বুধবার সকালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।গার্ডিয়ান/সিএনএন/এবিসি/বিবিসি।

পারিবারিকভাবে হকিংয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে দিয়ে এক বিবৃতিতে তার তিন সন্তান লুসি, রবার্ট ও টিম বলেন,‘আমরা অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের প্রাণপ্রিয় বাবা আজ মারা গেছেন। বাবাকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছি। তিনি ছিলেন একজন বড়মাপের বিজ্ঞানী ও অসাধারণ মানুষ।তার কাজ ও গ্রহণযোগ্যতা বহু বছর ধরে টিকে থাকবে। তার সাহস ও কাজ পৃথিবীর বহু মানুষকে উৎসাহিত করেছে। আমরা তাকে চিরকাল মনে রাখব।'

স্টিফেন হকিং ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ২১ বছর বয়স থেকেই তিনি দুরারোগ্য মটর নিউরন রোগে ভুগছিলেন। শারীরিকভাবে প্রায় পুরোপুরি অচল হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর ধরে তিনি তার গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে

হকিংকে বিশ্বের অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী বিবেচনা করা হয়।গার্ডিয়ান পত্রিকায় তাকে ‌'আধুনিক সৃষ্টিতত্ত্বের ‘উজ্জ্বলতম নক্ষত্র’ অভিহিত করে বলেছে- এই ‘তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মহাবিশ্বের প্রকৃতি সম্বন্ধে আমাদের বোধগম্যতার জন্য বিপ্লবী অবদান রেখেছেন।’ তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক ছিলেন। কিংবদন্তি বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন। ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর হকিং অবসরে যান। এর পর তিনি ক্যামব্রিজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেবার আগে হোয়াইট হাউসে বারাক ওবামার সাথে সাক্ষাত, পিছনে আছেন নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ও সাথে স্টিভেন হকিং

তিনি একসময় বলেছেন, যাদের আপনি ভালোবাসেন তাদের আশ্রয় কেন্দ্র না হলে মহাবিশ্বটা বড় কিছু নয়।

তার সন্তানরা নিজেদের একাকীত্ব বজায় রাখতে সবার সাহায্য কামনা করেন। যারা সারাজীবন হকিংয়ের পাশে ছিলেন ও তাকে সমর্থন করেছেন, তাদের সবাইকে তারা ধন্যবাদ দিয়েছেন।

মোটর নিউরন রোগ এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লোরোসিস বা এএলএসে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে অচল ছিলেন তিনি। এ রোগে ক্রমাগতভাবে অচল হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর ধরে তিনি সাফল্যের সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যান।

১৯৮৮ সালে ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বইয়ের কারণে তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। বইটিতে তিনি মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে তত্ত্ব দেন। আন্তর্জাতিকভাবে বেস্ট সেলার হিসেবে বইটির কয়েক কোটি কপি বিক্রি হয়। মহাবিশ্ব নিয়ে প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ বই ‘দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন’।

আইনস্টাইনের পর হকিংকে বিখ্যাত পদার্থবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়। তার কর্মময় জীবনে প্রিন্স অব অস্ট্রিয়ান্স পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার, উলফ পুরস্কার, কোপলি পদক, এডিংটন পদক, হিউ পদক, আলবার্ট আইনস্টাইন পদকসহ বহু পুরুষ্কারে ভূষিত হন।

বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানীর লেখা আ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম অবলম্বনে নির্মিত দা থিওরি অব এভরিথিং ২০১৪ সালে অস্কার পুরস্কার লাভ করে।

অধ্যাপক স্টিফেন উইলিয়াম হকিং ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন।

ডি.স/আ.হু

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ