বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

স্টিভেন হকিং-এর বর্ণাঢ্য জীবনের উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত

১৪ মার্চ, রয়টার্স /এএফপি : আধুনিক সৃষ্টিতত্ত্বের ‘উজ্জ্বলতম নক্ষত্র’ হিসেবে পরিচিতি বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং ৭৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। ছবিতে তার জীবনের বিশেষ মুহূর্ত ও কর্ম তুলে ধরা হলো।

২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারি সান্টিয়াগোতে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে চিলির রাষ্ট্রপতি মিশেল বাসিলেটের সঙ্গে দেখা করার পর দেশটির নোবেলজয়ী কবি পাবলো নেরুদার একটি বইয়ের দিকে তাকিয়ে ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং।

২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং (ডানে) ও তার স্ত্রী অ্যালেইন উত্তর স্পেনের গিজোঁ শহরে সান লরেঞ্জো সৈকতের সামনে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক স্টিভেন ডব্লিউ হকিং ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলিতে বিশ্বব্রহ্মা- সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করছেন।

 ২০০৮ সালের ৩১ অক্টোবর ভ্যাটিকানে বিজ্ঞান গবেষকদের একটি সভায় ব্রিটিশ অধ্যাপক স্টিভেন হকিংকে অভিবাদন জানান পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট।

২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল নিউ ইয়র্কে ব্রেকথ্রু স্টারশট ইনিশিয়েটিভের ঘোষণার সময় বিনিয়োগকারী ইউরি মিলনারের সঙ্গে মঞ্চে বসে পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং।

১৯৯৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিয়ের পর বিজ্ঞানী ও তাত্ত্বিক স্টিভেন হকিংকে চুমু দিচ্ছেন তার নববধূ অ্যালেইন ম্যাসন।

১৯৯৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সেন্ট বার্নাবাস চার্চে বিয়ের আশীর্বাদের পর নববধূ অ্যালেইন ম্যাসনকে সঙ্গে নিয়ে ক্যামেরার সামনে স্টিভেন হকিং।

২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর নিজের জীবনকেন্দ্রীক চলচ্চিত্র ‘দ্য থিওরি অব এভরিথিংয়ের’ প্রিমিয়ারে যোগ দিতে ব্রিটেনের সেন্ট্রাল লন্ডনের সিনেমায় হলে পৌঁছান স্টিভেন হকিং।

২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর নিজের জীবনকেন্দ্রীক চলচ্চিত্র ‘দ্য থিওরি অব এভরিথিংয়ের’ প্রিমিয়ারে যোগ দিতে ব্রিটেনের সেন্ট্রাল লন্ডনের সিনেমায় হলে পৌঁছান স্টিভেন হকিং।

২০১৪ সালের ২৯ মে লন্ডনে অবস্থিত সেন্ট জেমস প্যালেসে লিওনার্ড চেশায়্যার ডিজএবিলিটি চ্যারিটির অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে স্টিভেন হকিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ।

১৯৯৭ সালের ৭ অক্টোবর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর অ্যালেক ব্রাদারকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যাপক স্টিভেন হকিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মাইক্রোসফ্টের প্রেসিডেন্ট বিল গেটস।

২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর ব্রিটেনের লন্ডনে বিজ্ঞান যোগাযোগের জন্য পাওয়া স্টিভেন হকিং পদক তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ সঙ্গীতজ্ঞ এবং জ্যোতিঃপদার্থবিদ ব্রায়ান মে। ২০০৮ সালের ১৫ মে সাউথ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা জোহানেসবার্গে ম্যান্ডেলার ফাউন্ডেশনের অফিসে তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক স্টিভেন হকিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন।

এদিকে কালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। আধুনিক জ্যের্তিবিজ্ঞানের উজ্জ্বল এই নক্ষত্র ৭৬ বছর বয়সে বুধবার সকালে পৃথিবী ছাড়েন। মৃত্যুর পরপরই শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছেন ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব-ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ’র প্রতিষ্ঠাতা স্যার টিম বার্নারস লি,  ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর স্টিফেন টুপি, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। 

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর স্টিফেন টুপি বলেছেন, ‘লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণা ছিলেন একজন হকিং। প্রফেসর হকিং একজন অনন্য ব্যক্তি যাকে শুধু ক্যামব্রিজ নয় বরং সারাবিশ্বেই আন্তরিকতা ও আবেগের সঙ্গে স্মরণ করা হবে। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং বিজ্ঞান ও গণিতকে জনপ্রিয় করে তুলতে তার অবদান অমোচনীয় গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছে। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লাখ লাখ মানুষকে উৎসাহ যোগাবে।’

স্টিফেন হকিংকে স্মরণ করে স্যার টিম বার্নারস লি টুইটারে তিনি লেখেন, এক অসামান্য হৃদয় ও বিস্ময়কর কর্মশক্তিকে হারালাম। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসাও টুইটারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ‘তার তত্ত্বগুলো সম্ভাবনার মহাবিশ্বকে উন্মুক্ত করেছে আর সেসব আমরা ও বিশ্ব বিশ্লেষণ করছি। মাইক্রোগ্রাভিটিতে সুপারম্যানের মতো তিনি উড়তে থাকবেন।’

দ্য প্লানেট্রারি সোসাইটির শোক বার্তায় লেখা হয়েছে, অনিন্দ্য সুন্দর মননের প্রতিশ্রদ্ধা। জ্যের্তিপদার্থবিদ নিল ডিগ্রেস টাইসুন হকিংয়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, তার মৃত্যুতে বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণে শূন্যতা সৃষ্টি করবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটার পোস্টে লিখেছেন, 'প্রফেসর স্টিফেন হকিং ছিলেন অসামান্য বিজ্ঞানী ও একাডেমিক। তার জ্ঞান ও কর্মস্পৃহা সারাবিশ্বের মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। তার মৃত্যু সবার জন্যই শোকের কারণ। প্রফেসর হকিংয়ের অগ্রগামী কাজ বিশ্বকে আরও সুন্দর করেছে। তার আত্মা শান্তি পাক।'

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ