শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাগেরহাটে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

বাগেরহাট সংবাদদাতা: অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ এক মাস ধরে বাগেরহাট ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) বন্ধ থাকায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত ৪৫০জন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ব্যহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা কার্যক্রম। এরই মধ্যে আগামী ২৫ মার্চ প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পর্ব মধ্য (মিডটার্ম) পরীক্ষা। তাই দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয় থেকে বদলীকৃত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে আবারো বাগেরহাট থেকে যাবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন আইএমটির শিক্ষার্থীরা।  সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেঘলা হাচান শান্তা বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের লেখাপড়ার ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। চলতি মাসের ২৫ তারিখ আমাদের পরীক্ষা। কিন্তু এখনও এই সেমিস্টারে আমাদের কোন ক্লাস হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।   সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা আরো জানান, অধ্যক্ষ অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বাগেরহাট আইএমটি অনিদৃষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক প্রশিক্ষন সাজ্জাদ হোসাইনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সরেজমিনে তদন্তে আসেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক প্রশিক্ষণ সাজ্জাদ হোসাইন। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার ও ২৬ ফ্রেব্রুয়ারী সরোজমিন তদন্ত করেন। পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী প্রবসী কল্যাণ ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে  বদলী করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে বদলীকৃত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে আবারো বাগেরহাট থেকে যাবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ আইএমটির শিক্ষার্থীদের। এসময় অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে বাঁচানোর জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আমাদের সাড়ে চারশ শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ টাকা ও রাজনৈতিক চাপের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চলা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি ওই অধ্যক্ষ আমাদের নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। তার অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় সে ক্যাম্পাসে ভাংচুরের অভিযোগ এনে আমাদের ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দিচ্ছি। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ