বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় নেতাদের

মায়ানমারে উগ্রন্থী বৌদ্ধদের হাতে লণ্ডভণ্ড একটি মসজিদ

২৯ মার্চ, রয়টার্স : মিয়ানমারের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্তঃধর্মীয় নেতারা। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরে একটি হোটেলে গত বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের ১৪ সদস্যের দল এ আহ্বান জানায়। এসময় ক্যাম্প পরিদর্শনের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন তারা। দলটিতে দু'জন বৌদ্ধ, দু'জন মুসলিম, দু'জন ইহুদি এবং আটজন খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতা রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ও অ্যালান সেনুকে। তিনি বলেন, তারা কক্সবাজারে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তারা সেখানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কাছে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও বর্বরতার যে বিবরণ শুনেছেন, তা গা শিউরে ওঠার মতো।

তার ভাষায়, এমন বর্ণনা শুনলে মানবিক যে কারও হৃদয় কান্নায় কেঁপে ওঠে। তিনি বলেন, যেভাবে বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে তা সভ্য সমাজে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মহামতি বুদ্ধ কোনো অবস্থাতেই হত্যা ও বর্বরতার শিক্ষা দেন না। এসময় তিনি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ন্যায্য নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পূর্ণ নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ইহুদি নেতা রাব্বি ডেডিভ বলেন, রোহিঙ্গাদের বর্ণনা থেকে তারা মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের বিবরণ শুনেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে রোহিঙ্গারা পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে রাখাইনে ফিরতে এবং বসবাস করতে পারে।

খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতা বব রবার্টস বলেন, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা শুধু নাৎসি বর্বরতার সঙ্গেই তুলনীয়। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলব, এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিন। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন।

মুসলিম নেতা ইমাম মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্পষ্টত গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের বর্বরতা এতই ভয়াবহ যে, রোহিঙ্গারা এখনও সেখানে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না। আগে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এসময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ