চুয়াডাঙ্গার নাজমুল হুসাইন সফল স্কোয়াশ চাষি

মফিজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সদর সংবাদদাতা : কৃষির উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও চাকরির আশায় বসে থাকেননি চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হুসাইন (২৭)। তিনি চুয়াডাঙ্গার ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসএজি পাশ করেন ২০১৭ সালে। ঘরে বসে না থেকে নাজমুল হুসাইন বোয়ালিয়া গ্রামেই দু’বিঘা জমি ইজারা নেন। সেখানেই শুরু করেন চাষাবাদ।
চাষী নাজমুল হুসাইন বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সহযোগিতায় সৌদি আরবের ফসল স্কোয়াশ চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। এটা ওই দেশে সব্জি হিসাবে খাওয়া হয়। তিনি দু’বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ বপণ করেন। সুিপ্রম বীজ কোম্পানির ১ কেজি স্কোয়াশ বীজ কিনতে ব্যয় হয়েছিলো ১২ হাজার টাকা। বীজ বপণের ৭৫ দিন পর সেখানে ৫ হাজার স্কোয়াশ গাছ হয়। তিনি বলেন, স্কোয়াশ চাষ করতে গিয়ে দু’বিঘা জমিতে তার ব্যয় হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। স্কোয়াশ দেশের মিষ্টি কুমড়া, লাউ ও শশার মত খেতে স্বাদ লাগে। তিনি প্রতি কেজি স্কোয়াশ সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা কেজি এবং সর্ব নি¤œ ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। জমির ২৫টি গাছে ৮ কেজি করে স্কোয়াশ উৎপাদন হয়। তিনি আরো জানান, চাষাবাদের ব্যয় বাদে দু’বিঘা জমিতে তার ৪ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। তিনি বলেন, জমি থেকে স্কোয়াশ ওঠানোর পর সেগুলো পরিবহন যোগে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে যানজোটের কারনে স্কোয়াশ পচে যায়। তাছাড়া বাজার ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারনে স্কোয়াশ বিক্রির টাকা ওঠানামা করে। এজন্য সরকারি তদারকি থাকা প্রয়োজন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর বলেন,খাটো চাষাবাদ বর্তমানে লাভজনক হয়ে উঠেছে। সে কারণে বেলে দোঁয়াশ উঁচু জমিতে চাষের উপযোগী স্কোয়াশ চাষের ব্যাপারে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া শিক্ষিত বেকার যুবকদের খাটো চাষাবাদে আকৃষ্ট করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এতে করে তারা কৃষিকাজ করে স্বাবলম্বী হবে।