বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কারাগারে খালেদা জিয়া ঘাড় ও হাড়ের ক্ষয় রোগে ভুগছেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঘাড় ও হাড়ের ক্ষয় রোগে ভুগছেন। সম্প্রতি এক্স-রে পরীক্ষায় বেগম জিয়ার ঘাড় ও কোমরের হাড়ের কিছু পরিবর্তন ধরা পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ রোগটিকে ডিজেনারেটিভ অষ্টিওঅর্থোপ্যাথি ইনভলববিং সার্বিকেল অ্যান্ড লাম্বার স্পাইন বলা হয়। বয়স ও বিদ্যমান ঘাড় ও কোমর- এ দু‘টি হাড়ের ক্ষয়রোগজনিত কারণে বেগম জিয়ার স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও উঠাবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি ওষুধ খেয়ে ভালো না হলে তাকে বাইরের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হতে পারে। তবে বেগম জিয়ার রুটিন বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. মো. শামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বলেন, বয়সের কারণে তার (খালেদা জিয়া) ঘাড় ও কোমরের হাড়ে কিছুটা সমস্যা দেখা গেছে। এই সমস্যা নতুন নয়, আগে থেকেই ছিল। তবে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নরমাল রয়েছে। এই জন্য তাকে যেসব ওষধ দেয়া হয়েছে সেগুলোই চলবে। 

ইতোপূর্বে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা শুনে বোর্ড সদস্যরা ওষুধ লিখে এবং ব্যায়াম করার পরার্মশ দেন। শুধু তাই নয়, বেগম জিয়ার সঙ্গে যে মহিলা থাকছেন তাকে শারীরিক ব্যায়াম কিভাবে করতে হবে তা দেখিয়ে দেন। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে কারা মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।

জানা গেছে, বিএসএমএমইউ’র ল্যাবরেটরি থেকে প্রাপ্ত এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড মতামতসহ প্রতিবেদন তৈরি করে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিনের কাছে জমা দেন। হাসপাতাল পরিচালকের মাধ্যমে আজ তা কারা অধিদফতরে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদ- দেন বিচারিক আদালত। এরপর গত ৭ এপ্রিল নাজিম উদ্দিন রোডের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এনে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়। কেবিন ব্লকের প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার রক্ত নেয়া হয়। এরপর দুপুর পৌনে একটার দিকে তাকে শারীরিক পরীক্ষা করতে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ