শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মহিলা ক্রিকেটারদের সহকারী কোচ দেবিকার চোখ বিশ্বকাপে

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংরাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও  কোচ দেবিকা পালশিখরকে । দায়িত্ব নিয়ে মহিলা কোচ ক্যাপেলের মতো তিনি বদলে দেওয়ার কথা বলেননি। তবে মহিলা দলের খেলোয়াড়দের স্কিলের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন এ ভারতীয়। আগামী নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলকে টপকাতে হবে বাছাই পর্বের বাধা।  জুলাইয়ে নেদারল্যান্ডসে হবে বাছাই পর্ব। সেই মিশনের প্রস্তুতিতে যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে, সেজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড  বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। যার একটি সহকারী কোচ নিয়োগ। প্রধান কোচ ডেভিড ক্যাপেলের সহকারী হিসেবে ভারতের দেবিকা পালশিকারকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। চুক্তির মেয়াদ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। মহারাষ্ট্রের মেয়ে দেবিকার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তেমন দীর্ঘ নয়। ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত একটি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ছিলেন, ব্যাটও করতে ডান হাতে।  অবসরের পর ২০০৯ সালে শুরু করেন কোচিং। ২০১৪ থেকে দুই বছর সহকারী কোচ ছিলেন ভারতের নারী ক্রিকেট দলের। এরপর আসাম, মুম্বাই ও গোয়ার প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় এক দশক কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা দেবিকার বিশ্বাস, নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে রুমানা-সালমাদের একটা পর্যায়ে নিয়ে  যেতে পারবেন। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ছয়/সাত বছর ধরে বাংলাদেশ দলকে দেখছি। বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটারদের শক্তি ও আত্মবিশ্বাস আছে। তবে আমার মনে হয়, তাদের মধ্যে কিছুটা কৌশলগত ও দলীয় প্রচেষ্টার অভাব আছে। বড় জায়গায় খেলতে গেলে মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে হবে তাদের। আরও উঁচু পর্যায়ে যেতে বাংলাদেশের মেয়েদের সময় দরকার।  তারা যথেষ্ট সম্ভাবনাময়, শুধু সামনে এগোনোর মতো সঠিক পথ দেখানো প্রয়োজন তাদের।’ দায়িত্ব নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করার লক্ষ্যের কথা জানালেন নতুন সহকারী কোচ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোকাস বিশ্বকাপকে ঘিরে, তাই আমরা টি-টোয়েন্টির দিকেই বেশি মনোযোগ দেবো। কয়েক দিন পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপের পথে যাত্রা। আমরা এক ধাপ এক ধাপ করে এগোতে চাই।’ ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তার মন্তব্য, ‘ভারতে আমি তিনটি বিভাগ নিয়েই কাজ করেছি। এখানে প্রধান কোচ আছেন, উনার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। আমি তিনটি বিভাগেই কাজ করতে প্রস্তুত।’ বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ব্যাটিং। কখনও কখনও দেখা যায়, ব্যাটিংয়ের সময় বল ৩০ গজ বৃত্তও পার হতে পারে না। এ বিষয়ে দেবিকা পালশিকারের বিশ্লেষণ, ‘বল ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে থাকা মানে তাদের পাওয়ার হিটিং দক্ষতা প্রয়োজন। এমন হলে তাদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে হবে।’ আজ থেকে সিলেটে শুরু হচ্ছে মহিলা ক্রিকেটারদের ক্যাম্প, যা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে ২৮ এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকার পথে রওনা হবেন ক্রিকেটাররা। প্রোটিয়াদের মাটিতে পাঁচটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবেন তারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ