মেয়াদ উত্তীর্ণ সিএনজি সিলিন্ডার রেজিস্ট্রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা: কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া বিআরটিএ মেয়াদ উত্তীর্ন সিএনজি (আটোরিকশা ) বুলডোজার এর মাধ্যমে গুড়িয়ে দেওয়ার নামে ক্রমানুসারে রেজিস্ট্রেশন সিরিয়াল অতিক্রম নামে ঘুষ বাণিজ্যে ও সিলিন্ডার ফুঁেটা/স্ক্রাব না করে সিলিন্ডার জমানো ও বিক্রি করার পাঁয়তারার অভিযোগ করেছেন সাধারন সিএনজি মালিকরা। সিএনজি মালিকদের আভিযোগ, আমাদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী সিরিয়াল মেইন্টেইন না করে দালালরা গাড়ির কাগজ সংগ্রহ ও সিরিয়াল ওভার করে ঘুষ বানিজ্যে করছে এর সাথে বিআরটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত ,তারা গাড়ি প্রতি ২০,০০০-৪০,০০০(বিশ-চল্লিশ হাজার) টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছে। মালিক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান , নিয়মনুযায়ী গাড়ির বডি, চেসিস নাম্বার প্লেট মুছে দেয়া, ইঞ্জিন ,পুরান সিলিন্ডার তাদের ফেরত দেয়া, তারা তা না করে ,সিলিন্ডার ,রেখে দিচ্ছে বিআরটিএর কর্মকর্তারা এবং আনেকেই রেজিস্ট্রেশন স্লীপ তাড়াতাড়ি সংগ্রহ করার জন্য দালালদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন স্লীপ সংগ্রহ করছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ এর আহবায়ক- মোঃ জাকির হোসেন জানান ,দালাল এবং অসাধু কর্মকর্তাদের দৌড়াত্ব থেকে রক্ষার নিমিত্তে সিএনজি অটোরিক্সা নিবন্ধনের ক্রমানুসারে স্ক্রাব করতে হবে। ১৫ বছর চলাচলের প্রেক্ষিতে ৯৫% সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার অস্পষ্ট হয়ে গিয়াছে বিদায়, বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন ফিটনেসকৃত এবং বুয়েট, এমএসটিআই এর সনদ প্রাপ্ত সকল অটোরিক্সার স্ক্রাব কার্যক্রম সম্পন্ন, করে প্রতিস্থাপন করতে হবে।এ বিষয়ে উপ-পরিচালক মাসুদ আলম জানান, ২০০২ সালের ঢাকা মেট্রো যে সকল সিএনজি ১৫ বছর হওয়ার কারণে মেয়াদ উত্তীর্ন ৫৫৬১ সিএনজি গুড়িয়ে দিয়ে মালিক দের নতুন করে নাম্বার ,রেজিস্ট্রেশন দিয়ে প্রত্যেক কে নতুন করে অটোরিক্সার স্ক্রাব কার্যক্রম সম্পন্ন ,করে প্রতিস্থাপন স্লীপ দেয়া হচ্ছে। সিলিন্ডার ও সিরিয়াল ক্রমানুসার দালালদের ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপারে জানান, আমরা সিএনজির সকল কিছু মালিকদের ফেরত দিচ্ছি। সিলিন্ডার পরে ফুটো করবো ,অনেকেরই সিলিন্ডারে গ্যাস আছে, এখন ফুঁটো করলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।এ দূর্ঘটনা এড়াতে যে কোন বন্ধের দিন এগুলো ফুটো করবো । এছাড়া সিরিয়াল ক্রমানুসারে যে অভিযোগ করেছেন তা মোটেই সঠিক নয় ! প্রতিদিন নিয়মানুযায়ী ৫০টি গাড়ি স্ক্রাব/গুড়িয়ে দেয়ার নিয়ম, সেখানে ৪০ টি কোন কোন দিন ৫০টি আজ ৪৬টি গাড়ি উপস্থিত হয়। সেখানে অনেকেই রেজিস্ট্রেশন সিরিয়াল ও তারিখ অনুযায়ী আসছে না, তাই আমরা তার পরের টা স্ক্রাব এ নিতে বাধ্য ,দালালদেও ঘুষ বাণিজ্যে সম্পুন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।