বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দুদকে সাড়ে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ দুর্নীতির অভিযোগ হেয় করার জন্য -হুইপ আতিক

স্টাফ রিপোর্টার : সংসদের সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক দাবি করেছেন, রাজনৈতিকভাবে ‘হেয়’ করার জন্য একটি গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দুর্নীতির ‘মিথ্যা অভিযোগ’ দিয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমি প্রমাণ করতে চাই- স্বচ্ছতা, সততা আর ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে রাজনীতি করি বাংলাদেশে একটামাত্র ব্যক্তি, সেটা আমি। সেটা অতীতেও প্রমাণ দিয়েছি, ভবিষ্যতেও প্রমাণ দেব ইনশাল্লাহ।”
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আতিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে এম মেসবাহ উদ্দিন।
 শেরপুর-১ (সদর) আসনের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ পেয়ে দুদক এই অনুসন্ধান শুরু করে। গত ৫ এপ্রিল আতিককে তলব করে নোটিস দেওয়া হয়।
 শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়োগ বাণিজ্য করে এবং টিআর-কাবিখা প্রকল্প, স্কুল কলেজের এমপিওর টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে নামে বেনামে সাতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি শেরপুরের তিন আনি বাজারে তিনি বিলাসবহুল একটি বাড়ি কিনেছেন, গ্রামের বাড়ি কামারিয়ায় ৩০ একরের বাগান বাড়ি তৈরি করিয়েছেন, ঢাকার বসুন্ধরা ও বনশ্রীতে দুটি প্লটের মালিক হয়েছেন, ধানমন্ডি ও গুলশানে দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হুইপ আতিক সাংবাদিকদের কাছে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সত্য-ন্যায়নিষ্ঠ জায়গায় অবস্থান করছি, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে, অভিযোগগুলো বানোয়াট, মিথ্য, কল্পনাপ্রসূত।”
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সংসদ সদস্য আতিক বলেন, “অভিযোগের ব্যাপারে আমাকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই সমস্ত অভিযোগের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদেরকে বলেছি, যারা অভিযোগ করেছে তারাই প্রমাণ করুক।”তিনি বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম, গ্রাম থেকে আজকে এই পর্যন্ত উঠে এসেছি। মূলত আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য একটি গোষ্ঠী অভিযোগ দিয়েছে।”
বাড়ি, গাড়ি, সম্পদের উৎস সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এই সাংসদ বলেন, “এগুলো সেনালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করেছি। অবৈধ কোনো সম্পদ নয়।”
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে হুইপ আতিক বলেন, “এই অভিযোগের দ্বারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে না। কারণ প্রমাণ করব, আমি স্বচ্ছ।”
দুদকের এই অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, “উনার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগটি নতুন নয়, তিন বছর আগের অভিযোগ। এটি দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন ছিল বলে এতদিন আমাদের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন উচ্চ আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর নতুন করে এই অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।”

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ