শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তিন নেতার চোখ বাঁধার কথা অস্বীকার ডিবির

স্টাফ রিপোর্টার : কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের চোখ বেঁধে ডিবিতে আনার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আন্দোলনকারী তিন নেতার চোখ বাঁধার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
‘গাড়িতে উঠিয়ে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের চোখ বাঁধা হয়।’ আন্দোলনকারী নেতাদের এই অভিযোগ সম্পর্কে  প্রশ্ন করা হলে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এটা দু’পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনও অবস্থান নেই। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করছি। এজন্য তথ্যের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। তাদের ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হবে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।’
 সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন যুগ্ম-আহ্বায়ককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একটি কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে করে তাদের মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তিন শিক্ষার্থী হলেন, রাশেদ খান, নুরুল হক ও ফারুক হাসান। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন শেষে ফিরছিলেন। তাদের ডিবি পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ করা হলে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রতিবাদ জানান। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের মুক্তির দাবি করেন। কঠোর আন্দোলনেরও ঘোষণা দেন তারা। এরপর ডিবি পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টার মাথায় তাদের ছেড়ে দেয়।
ছাড়া পেয়ে তিন শিক্ষার্থী ঢাবি ক্যাম্পাসে গিয়ে ফের সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বর্ণনা দেন। তারা জানান, ‘গাড়িতে উঠিয়ে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের চোখ বাঁধা হয়।’
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ডিবির কর্মকর্তা আব্দুল বাতেনকে প্রশ্ন করেন। তিনি তখন বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, ‘এটা নিছকই ভুল বোঝাবুঝি। তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ নেই।’
তারা মামলা প্রত্যাহার চেয়েছে বলে আটক করা হয়েছিল কিনা? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার চাওয়ার সঙ্গে তাদের ডিবিতে নিয়ে আসার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তারা কী বক্তব্য দিলো, এর ব্যাখ্যা তারাই ভালো দিতে পারবেন।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ