শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আন্দোলনে জয়ী হলে নির্বাচনেও জয়ী হওয়া যায় -গয়েশ্বর

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইলিয়াস মুক্তি যুব পরিষদ ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ইতিহাস বলে আন্দোলনে যারা শিরোপা পায় তারাই নির্বাচনে জয় লাভ করে। আন্দোলনে জয়ী হলে নির্বাচনে জয়ের প্রেক্ষাপট এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলিয়াস মুক্তি যুব সংগ্রাম পরিষদ ও ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ইলিয়াস আলীর সন্ধানের’ দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সফু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সব আসন পেলেই ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। যদি তাই হতো তাহলে ৭০-এর নির্বাচনে চারটি বাদে সব আসন পেয়েও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যেতে পারতো। কিন্তু পারেনি। তার জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। তাহলে সেই আন্দোলন কি নির্বাচনের পরে করবেন নাকি আগে করবেন সে সিদ্ধান্ত এখন নিতে হবে। ৯০-এর ইতিহাসকে ২০১৮ সালের পাতায় লেখাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
তিনি বলেন, চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। তার মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলন করতে হবে। আমরা ঐক্য চাই। তবে সেই ঐক্য মান্নান ভূঁইয়ার মতো খালেদাকে মাইনাসের ঐক্য চাই না। ঐক্য হতে হবে ‘ফর দ্য পিপল, ফর দ্য বিএনপি, ফর দ্য ডেমোক্রেসি’।
গয়েশ্বর বলেন, কারাগারে থাকাকালীন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যে আন্দোলন আমাদের দলের যে অবস্থা দেখলাম তা হলো- খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি। তার মানে খালেদার মুক্তি না হলেও আমরা নির্বাচনে যাব। আবার বলা হচ্ছে, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এতে জনগণের কাছে ম্যাসেজ যাচ্ছে বিএনপির কাছে নির্বাচনটা বড়, খালেদার মুক্তি নয়। তাহলে সরকার কেন তাকে মুক্তি দেবে। তারা অপেক্ষায় আছে যে কোনো কায়দায় বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। কারণ বিএনপিকে যদি যে কোনোভাবে নির্বাচনে নামানো যায় তাহলে আগের নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনের বৈধতা আদায় হয়ে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দাবি একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চাই। হাসিনা মার্কা কোনো সরকার চাই না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হলে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। কারণ মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরীসহ যারা সাজাপ্রাপ্ত আছেন তারা যদি নির্বাচন করতে পারেন তাহলে খালেদা জিয়াও নির্বাচন করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আদালত খালেদার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে কিন্তু জনগণের আদালতে তিনি নির্দোষ। অতএব তার মুক্তির আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুত। আগামীতে কৌশল হবে একটাই। তা হল আন্দোলনে মাঠে নামা। আন্দোলন বাদ দিয়ে যদি আমরা হাসিনার অধীনে যদি নির্বাচনে যাই তাহলে মানুষ বেঈমান বলবে। তিনি বলেন, নিরামিষ খাওয়া ভালো তবে সব বয়সীদের জন্য ভালো নয়।
এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। সরকার দেশপ্রেমিক নেতাদের সরিয়ে দিতে চাইছে। আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
 সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বর্তমানের অবৈধ্য সরকার এ দেশের মানুষের মাঝে ঘৃণা বিদ্বেষের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত এ সরকার সেই আগুনেই পুড়ে মরবে। তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে ঐক্য অটুট আছে। সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের প্লাবন শুরু হয়ে গেছে। সরকারের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রশাসন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তারা জনগণের দাবির সাথে আছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ