রোহিঙ্গাদের উপর সুবিচার দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্যাম ব্রাউনবেক বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা নিঃসন্দেহে জাতিগত নিধনের শিকার। ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবেও তারা নির্যাতিত। তাই রোহিঙ্গারা যাতে ন্যায় বিচার পায় ও নিরাপদে স্বদেশে ফিরতে পারে এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে।
আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’ পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাউনবেক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচার এবং তারা যাতে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমার ফেরত যায় তাই চাইছে। আর বিষয়টির উপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতাকে আগেই যুক্তরাষ্ট্র সংখ্যালঘুদের ওপর জাতিগত নিধন হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেইসঙ্গে তাদের ওপর চালানো সহিংসতার ন্যায় বিচারও চায় যুক্তরাষ্ট্র।
রোহিঙ্গারা যাতে ন্যায় বিচার পায় ও নিরাপদে স্বদেশে ফিরতে পারে যুক্তরাষ্ট্র এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানান এ দূত।
এ সময় সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ অন্যান্যরা।
এরআগে বেলা ১১ টার দিকে দূতদের দলটি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি কোনারপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে যান। সেখানেও তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং খোঁজ-খবর নেন।
এসময় তার সাথে ইউএনএইচসিআর ও আইওএমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্যাম ব্রাউনবেকসহ মার্কিন প্রতিনিধি দলটি ঢাকা থেকে বিশেষ বিমানে করে কক্সবাজার পৌঁছান। বেলা দেড়টার দিকে ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে মার্কিন দলটি ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার রওনা হন।