শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মার্চ মাসে রাজনৈতিক সন্ত্রাস

মুহাম্মদ ওয়াছিয়ার রহমান : [পাঁচ]
বিএনপি: ১ মার্চ চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির ১১ নেতা-কর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। কারাগারে যাওয়া নেতা-কর্মীরা হলো- মতলব দক্ষিন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন মিলন, মতলব পৌর বিএনপির সভাপতি সাহেব আহমেদ সরকার, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন প্রধান, উপজেলা যুবদল সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম কিরণ, মতলব পৌর যুবদল সভাপতি মুজিবুর রহমান সরকার, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মিরাজ মাহমুদ জিসান, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়াজী, উপজেলা ছাত্রদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির মিয়াজী, পৌর ছাত্রদল সভাপতি ইমান হোসেন রবিন সরকার, সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস হোসেন মুন্না, পৌর ছাত্রদল সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন অভি, খাদেরগাঁও ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক শহীদ মিয়াজী, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মিজি, মতলব পৌর যুবদল ৪নং ওয়ার্ড যুগ্ম-আহবায়ক সুজন, যুবদল নেতা ইলিয়াস, বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন, নাছির গাজী ও সোহেল পাটোয়ারীসহ ২১ জন। ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি’র আজাদ ভূঁইয়াকে উপজেলা ছাত্রলীগ ধরে পুলিশে দেয়। নরসিংদীর মধাবদী পৌর বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কর্মী মুকুল ও আখতারকে আটক করে পুলিশ। ৪ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সফি তালুকদার মটর সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে। ১২ মার্চ ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। ১৫ মার্চ নড়াইল জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুন্সী শহীন উল্লাহ মোহন ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ইশতিয়াক হোসেন মঞ্জুকে আটক করে পুলিশ।
১৮ মার্চ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুজাউদদৌলা সঞ্জু, সাধারন সম্পাদক লুৎফুর হায়দার রুমী ও উপজেলা যুবদল সাধারন সম্পাদক স্বপন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। ২০ মার্চ নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন, তার সহযোগী আবু তাহের, আবু শাহাদৎ হোসেন সায়েম ও রাজু আহমেদ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। যশোরের অভয়নগর উপজেলা বিএনপি সভাপতি ফরাজী মতিউর রহমান, শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, চৌগাছা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবদল সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এম তমাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বাবু, ও নগর ছাত্রদল সভাপতি ফারুক হোসেনসহ ৯৭ নেতা-কর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকনকে পৌর মার্কেটের পিছনে একটি বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। ২৮ মার্চ নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি মামলায় পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু ও সহযোগী ছাবেন শাহকে ঢাকায় আটক করে নাটোর আসার পথে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পৌর গেটের সামনে তাদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে বলে পুলিশ অভিযোগ করে। এ ঘটনায় পুলিশ পৌর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল শেখ, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, উপজেলা ছাত্রদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক সময় হাসান, কর্মী হাফিজুর রহমান, মিজান ও আব্দুল মতিনকে আটক করে।
ছাত্রদল: ৮ মার্চ ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি থেকে ছাত্রদল ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি এসএম মিজানুর রহমান রাজকে আটক করে পুলিশ। ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগরে স্বাধীনতা দিবসে ছাত্রদলের মিছিল থেকে বিএনপি উপজেলা সহ-সভাপতি জামাল মিয়া ও ছাত্রদল হরিপুর ইউনিয়ন সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পুলিশ উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছুট্টুকে চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে আটক করে।
যুবদল: ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবদল মহানগর আহবায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কালে আটক করে পুলিশ।
স্বেচ্ছাসেবক দল : ৬ মার্চ ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারন সম্পাদক শফিউল বারী বাবুকে আটক করে পুলিশ। ২৭ মার্চ কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হানিফ রানাকে আটক করে পুলিশ। 
জামায়াত : ৪ মার্চ ফেনীর ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ যশপুর থেকে জামায়াত কর্মী নূরুল আলম ফরাজীকে আটক করে পুলিশ। ১২ মার্চ রাজশাহীর হেতেম খাঁ থেকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জামায়াত রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আমীর প্রফেসর এমএ হাশেম, রাজশাহী পশ্চিম জেলা আমীর আব্দুল খালেক, পূর্ব জেলা আমীর রেজাউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমীর আবুজার গিফারী, রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসেন, পশ্চিম জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম ও কর্মী তৈয়ব আলীসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। ৩১ মার্চ ভোলার চরফ্যাশন থেকে উপজেলা আমীরের বাসা থেকে উপজেলা জামায়াত আমীর মাওলানা হারুন-অর-রশীদ, মোস্তফা কামাল, ভোলার আমির হোসেন, লালমোহনের লোকমান হোসেন, জসিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ শরীফ হোসেন, শশীভূষণের নাছিম, রেদওয়ান, আবুল কাশেম, মোঃ আলী, রহমত উল্লাহ্্ ও দক্ষিন আইচার জিয়াউল হককে পুলিশ আটক করে।
শিবির: ১ মার্চ রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে শিবির কর্মী শারিয়ার তাজিম, ইকবাল মাহমুদ, ইয়াকুব আলী ও রাব্বি হোসাইনকে আটক করে পুলিশ। ৫ মার্চ নোয়াখালীর মাইজদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সুধারাম পুলিশ একটি মিলনায়তনে একাডেমিক ক্লাস চলাকালে ৪০ জন শিবির নেতা-কর্মীকে আটক করে। ১৩ মার্চ কুমিল্লা মহানগর শিবির সভাপতি হাবিবুর রহমান মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল ইসলাম শাহাদাত ও স্কুল কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম রনিকে রাণীর বাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
২০ দলীয় জোট : ৮ মার্চ খুলনা থেকে ২০ দলীয় জোটের ৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। ১৪ মার্চ বাগেরহাটের ফকিরহাটে ২০ দলীয় জোটের ২ নেতা উপজেলা জামায়াত আমীর এ.জি.এম তৈয়েবুর রহমান ও যুবদল উপজেলা সাধারন সম্পাদক মুশফিকুজ্জামান রিপনকে আটক করে পুলিশ। ১৮ মার্চ সাতক্ষীরা সদরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিনসহ ২০ দলীয় জোটের ১৮ নেতা-কর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠায়।
জাতীয় পার্টি : ৯ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয় পাটির যৌথ কর্মী সভায় ৪ নেতার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। চট্টগ্রাম মহানগর জাপা আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ ও সাবেক আহবায়ক মেহজাবিন মোর্শেদ সমর্থকদের স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে এই মারামারি হয়।
খেলাফত মজলিস : ৮ মার্চ খুলনা মহানগর বিএনপি অফিসের সামনে থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ২০ দলীয় জোটের এক সভা শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেএমবি : ৬ মার্চ গাজীপুরের বোর্ড বাজার থেকে জেএমবি সদস্য রাশেদ ওরফে রাফিউল ইসলাম লিখনকে আটক করে র‌্যাব-২। ১২ মার্চ নাটোরের একটি আদালত ২ জেএমবি সদস্য রাসেল আহমেদ তামিম ও মোজাম্মেল হককে ২০ বছরের কারাদ- দেয়। এ ছাড়া নাটোরে উত্তরা গনভবন এলাকা থেকে ৪ জেএমবি সদস্যকে আটক করে পুলিশ। ২৬ মার্চ রাজশাহীর চারঘাট লক্ষ্মীপুর থেকে জেএমবি’র সদস্য শহীদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
ইউডিপিএফ (প্রসিত): ৭ মার্চ খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (প্রসিত) গ্রুপ মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পুলিশসহ ১৪ জন আহত হয়। [সমাপ্ত]

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ