শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রধান শিক্ষক অপসারণ আন্দোলনে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : মৌলভীবাজার পৌর শহরের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলী আমজদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপসারণ আন্দোলনে ব্যাহত হচ্ছে হাজার খানেক শিক্ষার্থীদের পাঠদান। দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা এ আন্দোলনের কারণে রীতিমত শ্রেণী কক্ষে পাঠদান হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাঠামো হজবরল থাকায় অনেক অভিভাবকই শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে পাঠাতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। হাজার খানেক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকায় আছেন অভিভাবকরা।
প্রধান শিক্ষক আয়শা শাহনাজ রিনি’র অপসারণের দাবিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ শহরের চৌমুহনী চত্বরে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন। এর পর থেকেই বিদ্যালয়ের পাঠদান আরো ভেঁঙ্গে পড়ে। ১৬ এপ্রিল ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রধান শিক্ষক ক্লাস বর্জনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কয়েকজন অভিভাবক আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের আশপাশ থেকে কতিপয় লোক শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। সরেজমিন বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায় কিছু শিক্ষার্থী দিয়ে ক্লাস চলছে। কতজন শিক্ষার্থী শ্রেণী কক্ষে উপস্থিত হয়েছেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আয়শা শাহনাজ রিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করানো থেকে শুরু করে শ্রেণীকক্ষের সবধরনের কাজ করান। এ ছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অসদাচারণ, দুর্ব্যবহার ও শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের মারধর করে থাকেন প্রধান শিক্ষক। বিভিন্ন সময়ে এসব বিষয়ে অভিভাবকরা প্রতিবাদ করলে তিনি গালমন্দ করেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবকরা দীর্ঘদিন থেকে এই প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবী করে আসলেও কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, আমি এধরনের কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত নই। কিছু লোক আমাকে মেনে নিতে পারছে না। আমি ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের সময়ও তারা বিরোধীতা করেছিল এখনও করছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হুসনে খানম বলেন, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ