শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সরকারি কর্মকর্তা গ্রেফতারে অনুমতি সংবিধান পরিপন্থী

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়ায় কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের আগে পূর্ব অনুমতির বিধানসহ বেশকিছু বিতর্কিত ধারা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দক্ষ, জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও জনপ্রশাসনে জবাবদিহি নিশ্চিতে খসড়া আইনটির বেশকিছু ধারা বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ ও আহ্বান জানিয়ে টিআইবি বলেছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার বিভিন্ন ধারা বিশ্লেষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক গঠিত উপ-কমিটির প্রতিবেদনে বেশকিছু বিতর্কিত ধারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘খসড়া সরকারি চাকরি আইনে (২০১৮) নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে পূর্বানুমতি গ্রহণ, এক বছরের বেশি কারও সাজা হলে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত না করা, আদালত কর্তৃক কারাদ-প্রাপ্ত ও চাকরি হতে বরখাস্ত বা অপসারণকৃত কোনো ব্যক্তিকে বরখাস্ত বা অপসারণ হতে অব্যাহতি প্রদানের সুযোগ রাখাসহ বেশকিছু বিতর্কিত ধারা বহাল রাখা হয়েছে। এই ধারাগুলো প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থী।’
সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘দায়িত্ব পালনজনিত কারণে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে চার্জশিট দেয়ার আগে গ্রেফতার করতে সরকারের অনুমতি গ্রহণের যে বিধান বহাল রাখা হয়েছে তা বৈষম্যমূলক ও সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থী। বিশেষ করে সরকারি খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সরকারি অঙ্গীকারের সঙ্গে ধারাটি যেমন সাংঘর্ষিক, তেমনি এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। ধারাটি বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উন্নততর পেশাদারিত্ব, মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক মূল্যায়ন।
বিশেষ করে জনপ্রশাসন যেন দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে যেকোনো ধরনের ভয়-ভীতি, চাপের ঊর্ধ্বে থেকে সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে। এর উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে খসড়া আইনটির নতুন প্রস্তবনার উপরোক্ত অন্যান্য ধারাগুলো বাদ দেয়া জরুরি। পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত করতে হবে যেন জনপ্রশাসনে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়ন না হয়।’
এ ছাড়া সামগ্রিক স্বচ্ছতার স্বার্থে আইনটির নতুন প্রস্তাবনাসহ পূর্ণ খসড়াটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সকলের মতামত নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ