বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সৈয়দপুর শহররক্ষা বাঁধ সংস্কার কাজে অনিয়ম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুরে গতবছর বন্যায় বিধ্বস্ত শহর রক্ষা বাঁধটি সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সংস্কার কাজটি গত ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর শহর রক্ষায় খড়খড়িয়া নদীর পুর্ব পাড়ে ১৯৬৫ সালে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট প্রশস্ত ও ১০ ফুট উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ইঁদুরের গর্ত আর ট্রাক্টরের অবাধ চলাচলে বাঁধটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সবশেষ গত বছর আকস্মীক বন্যায় বাঁধের পাটোয়ারীপাড়া অংশ ভেঙ্গে যায়। প্লাবিত হয় বিমানবন্দরসহ শহরের নি¤œাঞ্চল। বিমানবন্দর ও স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীরসহ বাঁধ সংলগ্ন পাকাসড়ক ও দিনাজপুর মহাসড়কে ব্রিজটির গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে যায়। ফসলসহ ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।  সূত্র জানায়, জরুরী ভিত্তিতে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের জন্য ৩০ লাখ টাকার একটি অনুন্নয়ন বরাদ্দ  থেকে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত সংস্কার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কিন্তু সরেজমিন দেখা যায়, সৈয়দপুর শহররক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে যেনতেন ভাবে। বাঁধের ঢাল (পাড়) ও উপরে মাটি ভরাট না করেই কোদাল দিয়ে বাঁধের উপরিভাগের উঁচু-নিচু অংশ সমান করা হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় ধুলার পরিমাণ বাড়ছে। ট্রাক্টর চলাচল বা বৃষ্টি হলে সংস্কার করা মাটি উঠে গিয়ে আবারও বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
একটি সূত্র জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কাজটি দেয়া হয়েছিল রংপুরের একজন ঠিকাদারকে। কিন্তু তিনি ওই কাজটি স্থানীয় এক ঠিকাদারের (সাব কন্ট্রাকটর) কাছে বিক্রি করেন। ফলে ওই সাব-কন্ট্রাক্টর নিজের মুনাফা ঠিক রাখতে যেনতেন ভাবে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন জানান, মাটি স্বল্পতার কারণে সংস্কার কাজ ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। মাঠ থেকে চলতি মৌসুমের ধান কাটাইয়ের পর জমি ফাঁকা হলে মাটির যোগান মিলবে এবং সংস্কার কাজ শতভাগ হবে।
সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, শহররক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজটি শিডিউল মোতাবেক হচ্ছে না। দায়সারা ভাবে কাজ করা হচ্ছে। এতে বাঁধটি আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে তিনি জানান।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগামী বর্ষায় যাতে বাঁধটি পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য অনুন্নয়ন বরাদ্দ থেকে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। কাজে নিয়মিত তদারকি হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ