শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দেশে চিনিকলগুলো রাখা একেবারেই খামাখা

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পৃথিবীর মধ্যে আমাদের দেশেই চিনির দাম বেশি। অন্য দেশে যত টাকায় পাওয়া যায় আমরা তার চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি দিয়ে কিনি। এর জন্য দায়ী দেশের ১০/১১টা চিনিকল। চিনি এখন শুধু আখের ওপর নির্ভরশীল নয়। এখন চিনি তৈরির জন্য বিট খুবই সস্তায় পাওয়া যায়। তাই চিনি শিল্পকেই আমাদের দেশে রাখা উচিত নয়। এখনও যে চিনিকলগুলো রাখা হয়েছে সেটা একেবারেই খামাখা।
গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম. এ. মান্নান, অর্থসচিব মুসলিম চৌধুরী, রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিজভী নেওয়াজ, সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বড় ধরনের ফাইন দিয়ে কালো টাকা সাদা করার আইন আছে। অনেক সময় দেখা যায় কারো কাছে অপ্রদর্শীত অর্থ (কালো টাকা) রয়েছে। সেটা যদি সরকারের কোষাগারে আসে তাহলে ভাল।
তিনি বলেন, টাকা পাচার নিয়ে আমাদের দেশে যতটা কথাবার্তা হয় আসলে ততটা টাকা পাচার হয় না। এক সময় হতো যখন মালায়েশিয়া সেকেন্ড হোম হিসেবে গড়ে উঠেছিল। এখন মালোয়াশিয়া আমাদের এ বিষয়ে সহায়তা করছে। তাছাড়া দুবাইও এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সুতারাং টাকা পাচারের কথা যতটা বলা হয় এটা আসলে ততটা নয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বর্তমানে ব্যাংক ঋণে সুদহার বেড়ে ১০ শতাংশের কাছাকছি হয়েছে জানালে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাহলে তো সঞ্চয়পত্রের সুদ হার পুনর্নিধারণ করার প্রয়োজন হবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে জাতীয়করণের পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী বাজেটে স্কুল বাস নামানোর বিষয়ে ঘোষণা থাকবে। প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হয়ে গেছে। সিক্স-এইট পর্যন্তও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাতীয়করণ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্কট থাকলেও সার্বিকভাবে এ শিক্ষার অবস্থা ভাল। সেকেন্ডারি স্কুলের সংখ্যার দিক থেকে একটা ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এখন কোয়ালিটির দিকে নজর দিচ্ছি। আগামী বজেটেও কিছু সংখ্যক এমপিও দেব। কিন্তু এমপিও শুধু শিক্ষকদের জন্য হবে না। এমপিও হবে অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উপকরণের জন্য। এজন্য আলাদা আলাদা করে বরাদ্দ রাখা হবে। এ বরাদ্দটাও নির্ধারণ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে করপোরেট ট্যাক্স খুব বেশি। আগামী বাজেটে এটা কিছুটা কমানো হবে। করমুক্ত আয়সীমাও কিছুটা বাড়ানো হবে। আগামী বাজেটের আকার হবে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ