শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নিকেতনে বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মচারী শাকিল হত্যার পেছনে ‘নেশার টাকা নিয়ে বিরোধ’ -পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর নিকেতনে বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মচারী শাকিল আহমেদ হত্যার ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলেছে, নেশার টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ওই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিকেতনের একটি বাসা থেকে আরাফাত নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান। ওসি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আরাফাত। সে বলেছে, তারা একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করত। টাকা নিয়ে গন্ডগোলে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিকেতনের ৩ নম্বর সড়কে ‘টিনসেল টাউন’ নামের ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থার অফিস থেকে ১৮ বছর বয়সী শাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় শাকিলের গলা ও হাতে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা জানানো হয়। ফেনীর ছেলে শাকিলের বাবা নূর-এ-নবী ঢাকায় একটি শুটিং হাউজে কাজ করেন। শাকিল নিকেতনে ‘টিনসেল টাউনে’ কাজের পাশাপাশি ওই অফিসেই থাকতেন।
শাকিলের মোবাইল থেকে মঙ্গলবার সকালে তার বাবার কাছে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে কয়েক দফা আলোচনায় সেই টাকার পরিমাণ এক লাখে নামে। ওই ফোন পাওয়ার পর শাকিলের বাবা গুলশান থানায় যান। পুলিশের পরামর্শে মোবাইলের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবিকারীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায় শাকিলের পরিবার। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য নিকেতনে টিনসেল টাউনের অফিসের কাছে স্থান নির্ধারণ করা হয়। দিনভর ওই ভবনের আশপাশে অবস্থান নিয়ে থাকার পরও কেউ টাকা নিতে না আসায় সন্ধ্যায় টিনসেলের অফিসে যায় পুলিশ। কিন্তু দরজা বন্ধ দেখে তা ভেঙে ভেতরে ঢোকার পর ভেতরে শাকিলের লাশ পাওয়া যায়।
গুলশানের ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “শাকিল ও আরাফাত নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত। তাদের কাছ থেকে একজন ইয়াবার টাকা পেত, ওই টাকা শাকিলেরর দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় শাকিলকে হত্যা করে আরাফাত।”
আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “বিজ্ঞাপনী সংস্থার অফিসে ঘটনার রাতে তারা দুজন বিয়ার ও ইয়াবা সেবন করে। শাকিল ঘুমিয়ে গেলে আরাফাত তাকে বেঁধে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ