বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চোররা দেশবাসীর মুখের গ্রাস কেড়ে খাচ্ছে

মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন : উন্নয়ন নিয়ে বেশ জোরেশোরে কথা-বার্তা, বক্তৃতা-বিবৃতি, লেখালেখিসহ অনেক কিছুই হচ্ছে। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে এমপি, মন্ত্রী, দলীয় নেতানেত্রী, দলীয় সমর্থক বা তোষামোদকারীদের কথায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দেশবাসী তাদের কথার উন্নয়ন শুনতে শুনতে অস্থির হয়ে পড়েছে। তবে দেশবাসী সরকারের কথা আর কাজের মধ্যে ব্যাপক ফারাক লক্ষ্য করে ক্ষোভ আর দুঃখ প্রকাশ করছে! সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, এমপি, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক উন্নতি করেছে তা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। এদের বেতন ১২৩% ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আবার বৈশাখী ভাতাও দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার পরিচালনায় আমলা-কামলা এবং তোষামোদকারীদের অনেক অনেক প্রধান্য থাকায় দেশের সাধারণ মানুষ অনেক কিছু হতে যেমন বঞ্চিত হয়েছে, তেমনি তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে!

দেশের সাধারণ মানুষ বলতে শুরু করেছে, দেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে সাধারণ মানুষের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশী কিন্তু জাতির জনকের হত্যার পর হতে সবক’টি সরকারের আমলে বেশি শোষিত ও বঞ্চিত হয়ে আসছে দেশের সাধারণ মানুষ। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরসহ অন্যান্য কিছু বিশেষ শ্রেণীর বেতন-ভাতা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি করার ফলে সাধারণ মানুষের যেমন করের হার বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি জীবনযাত্রার মান হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। দুনিয়ার কোন দেশে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন ১২৩% ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে? সরকার কেন ভাবলো না প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ১২৩% ভাগ বেতন বৃদ্ধি পেলে জনগণের ওপর ট্যাক্সের বোঝা বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের কষ্ট হবে! বর্তমান সরকার কার বা কাদের কথায় বা কাদের পরামর্শে এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে তা তড়িঘড়ি করে বাস্তবায়িত করলো! জনগণের প্রশ্ন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা কি তাদের বেতন ১২৩% বৃদ্ধির জন্য কোন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিল? তারাতো তাদের বেতন ১২৩% বৃদ্ধির জন্য একটা মানব বন্ধনও করেনি। কেন তাদের বেতন একই সাথে ১২৩% ভাগ বৃদ্ধি করা হলো? আবার সাথে বৈশাখী বোনাস প্রদান করা হলো? হ্যাঁ, দেশের সাধারণ মানুষ এ প্রশ্ন করতেই পারে এবং এ অধিকার তাঁদের রয়েছে। আমাদের সংবিধানের ৭নং অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; তাই জনগণ সরকারকে জবাবদিহি করতেই পারেন। জনগণের দাবি- সরকার কেন এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে তড়িঘড়ি করে তা বাস্তবায়ণ করলো। এর পেছনে কি কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। 

আজকে যিনি সরকার প্রধান, তিনি অন্য সরকার প্রধান থেকে আলাদা। তিনি বাঙ্গালী জাতির পরম হিতৈষী বন্ধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তাঁর প্রতি সমগ্র জাতির বেশী-বেশী প্রত্যাশা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তিনি কিছুসংখ্যক আমলা-কামলা আর তোষামোদকারীদের দ্বারা এমনভাবে পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন, যাতে তিনি সাধারণ মানুষের কোন খবরই জানতে পারছেন না বা ওরা তাঁকে জানতে দিচ্ছে না। দেশের সাধারণ মানুষের কান্না তাঁর কানে যাচ্ছে না। তাঁকে এমনভাবে পরিবেষ্টন করে রাখা হয়েছে, যাতে তাঁর কাছে সাধারণ মানুষ পৌঁছতেই পারছেন না বা পৌঁছার মত কোন পরিবেশই রাখা হয়নি। দেশের সাধারণ মানুষ তাঁদের সুখ-দু:খ, অভাব-অভিযোগের কথা নিয়ে যদি তাঁর কাছে পৌঁছতে পারতেন তবে তিনি কোন জনবিরোধী পদক্ষেপ নিতেন না। সাধারণ মানুষের জন্য সকল দুয়ার বন্ধ, কেবল আমলা-কামলা আর তোষামোদকারীদের জন্য তার দ্বার খোলা। সাধারণ মানুষ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে একমাত্র আমলা-কামলা আর তোষামোদকারীদের স্বার্থে। একশ্রেণীর সুবিধাভোগীরাই তাঁর কাছে পৌঁছতে পারছেন এবং তারাই সরকারী সব ধরনের সুবিধা ভোগ করছেন। এ সরকারের কাছে অতি সাধারণ মানুষের সামান্যতম গুরুত্ব নেই। সত্যি! সাধারণ মানুষ কত যে অসহায়, অবহেলিত ও দুর্দশাগ্রস্ত তা ভুক্তভোগীরা ভাল জানেন। এদের প্রশ্ন দেশ স্বাধীন হয়ে আমরা পেলামটা কি!!!?

তবে দেশের সাধারণ মানুষ ভালো নেই। একদিকে চাল, ডাল, তেল-নুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অগ্নিমূল্য। অন্যদিকে মানুষের ব্যবহার্য গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি একাধিকবার করা হয়েছে এবং বার বার এসবের মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনমনে সরকারের প্রতি একটি বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে এবং তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে কিন্তু তারা কিছু বলছেন না, তারা নিরব এবং এ মৌনতার ভাব মোটেই ভাল নয়। মৌনতা একটা বড় প্রতিবাদ, যদি তা বোঝার ক্ষমতা সরকার প্রধানের থাকে তবে তা তাঁর জন্য মঙ্গল। নচেৎ এর মাশুল তাকে দিতে হবে কঠিনভাবে।

সরকার প্রধানকে বুঝতে হবে কোন আমলা-কামলা এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা কাউকে রক্ষা করতে পারে না, যদি জনগণ তার পাশে না থাকেন। জনগণের কষ্টের বোঝা বৃদ্ধি করে কেউ বেশি দিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আর জোর-জুলুম করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাটা শোভনীয় নয়। জনগণের ম্যান্ডেট বা ভালবাসা নিয়ে ক্ষমতায় থাকা আর জোর-জুলুম করে বা কৌশলে ক্ষমতায় থাকার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সময় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বেতন বৃদ্ধি হলে দুর্নীতি ও ঘুষ কমবে। ঘুষ ও দুর্নীতি কমেনি বরং আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তার কথাতেই প্রমাণিত। তা হলে চিন্তা-ভাবনা না করে ১২৩% ভাগ বেতন বৃদ্ধি করা হলো কেন? যদি প্রশ্ন করেন দেশবাসী তাহলে সরকার প্রধান জবাবে কি বলবেন তা আমি জানি না। তবে সংবিধানুযায়ী তিনি জবাব দিতে বাধ্য। তবে আমার বিশ্বাস এ অর্থমন্ত্রীর কারণে বর্তমান সরকার অনেকটাই বিতর্কিত। আমলারা আমলাদের স্বার্থ দেখে, তার প্রমাণ ১২৩% বেতন বৃদ্ধি। একটা মন্ত্রণালয়ে একজন জনপ্রতিনিধি নেই কেন? অর্থমন্ত্রণালয় চালাচ্ছে যারা তারা সকলেই সাবেক আমলা এবং যিনি বেতন বোর্ডের প্রধান ছিলেন তিনিও একজন সাবেক আমলা। আমলারা আমলাদের স্বার্থ দেখে এবং তারা করলোও তাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করতেন বেশী হলে ১৫%-২০%। অর্থমন্ত্রী হতে হলে কোন অর্থনীতিবিদের আদৌ প্রয়োজন নেই। একজন দেশপ্রেমিক হলেই যথেষ্ট। 

শিক্ষাক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা বিতর্কিত। আজ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী পারলো না কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে। এ ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে দেশবাসী চরমভাবে হতাশ। স্কুল-কলেজে এখন আর শিক্ষা নেই বললেই চলে। এ প্লাস, গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েও অনেকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে! পাশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়নি। এর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। নিয়োগের ব্যাপারে মানের ধারে-কাছেও নেই। আর এ ঘুষ বাণিজ্যের জন্য দায়ী রাষ্ট্রক্ষমতা। জানি না, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে। 

সড়কের অব্যবস্থাপনা চরম আকারে দেখা দিয়েছে। মাত্র কয়েকদিনে অনেকগুলো তাজা প্রাণ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হল। অথচ এ ব্যাপারে সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু সমান বা কোথায়ও তারও বেশী পানি জমে গিয়ে জনব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়েছে। উন্নয়ণের নাম করে সরকার কেবল রাস্তা খোড়া-খুড়ি ব্যতীত অন্য কিছু করছে বলে তা মনে হচ্ছে না। 

এমন কোন বিভাগ নেই, যেখানে ঘুষ বা দুর্নীতি নেই। দুর্নীতির দায়ে দুদক অনেক এমপি এবং প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীকে তলব করছে এবং এতেই প্রমাণিত হচ্ছে দুর্নীতি কতটুকু সম্প্রসারিত হচ্ছে।

যখন কোন একজন মন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরকে ঘুষ খেতে বলেন, তখন দেশের অবস্থা বুঝতে আর বাকী থাকার নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার সম্পূর্ণ আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছে। যার জন্য দুর্নীতি ঠেকাতে পারছে না এবং তাই ই শিক্ষামন্ত্রী কর্মচারীদেরকে ঘুষ খেতে বলেছে একটু রয়ে সয়ে। এ যদি একজন মন্ত্রী বলে তাহলে দেশের সার্বিক অবস্থা বুঝতে আর অসুবিধা হবার কথা নয়। এরা যে কিসের যোগ্যতায় মন্ত্রী হয়েছে তা ভবিতব্যই ভাল জানেন। 

দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে সাম্প্রতিককালের কিছু তথ্য তুলে ধরছি, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বহাল তবিয়তে পাচার হয়ে গেছে। তা অদ্যাবধি উদ্ধার করা সম্ভব না হলে ওই টাকা উদ্ধারের জন্য আরো মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে গেছে। গত ১০ বছরে রাষ্ট্রাত্ত্ব জনতা ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার বেশী ঋণ দেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় হয়নি। জনতা ব্যাংক একটি গ্রুপকে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যা আদৌ আদায় হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। বেসিক ব্যাংক থেকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিস্মিল্লাহ গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ লুটপাট করা হয়েছে বলে দেশবাসী জানে। ডেসটিনী, ইউনিপেটু ও নিউওয়ে নামের কয়েকটি হায় হায় কোম্পানী মানুষকে ধনী হবার লোভ দেখিয়ে বা প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছে এবং এ কারণে ডেসটিনীর কিছু ব্যক্তি জেল খাটছে কিন্তু বড়ই দুর্ভাগ্য জনগণের টাকা ফেরত পায়নি। হলমার্ক গ্রুপ হাওয়ার ওপর ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। লুটপাটের মাধ্যমে স্বনামধন্য ৭টি ব্যাংক ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মূলধন হজম করেছে। শেয়ারবাজার থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে।

গত ২০১৫ সালে সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এলসির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে ৭৩ হাজার কোটি টাকা, যা ২০১৪ সালে ছিল ৭৬ হাজার কোটি টাকারও বেশী। এছাড়া চোরাচালান, সোনা চালান, ভুয়া এলসি, হুন্ডি বা অন্যান্য মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে বিভিন্নভাবে পাচার করা হয়েছে। কিছুসংখ্যক মানুষরুপী অমানুষরা জনগণের অর্থ ও সম্পদ লুট-পাট করে বিদেশের মাটিতে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছে। এদের মধ্যে অনেকে বিদেশের মাটিতে রঙমহল গড়ে তুলেছে বলে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে দেশবাসী অবগত হয়েছেন। জনসাধারণকে জিম্মি করে তারা দেশের অর্থ-সম্পদ দেদারছে লুটপাট করছে। এ ছাড়া উন্নয়নের কাজে টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি করে দেশের সম্পদ চলছে লুটপাট। হায়রে দুর্নীতির ধরণ- রডের পরিবর্তে করছে বাঁশের ব্যবহার। মানুষের মুল্যবোধ এতটা কমে যাবার জন্য দায়ী করবো কাকে....! আমরা চলেছি কোথায়! 

বর্তমান সরকারকে বলবো, যারা দেশের মানুষের অর্থ-সম্পদ লুট-পাট করে, চুরি করে, অর্থের পাহাড় গড়ছে, বিদেশের মাটিতে রঙমহল গড়ে তুলেছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন। যে সকল এমপি, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও দুর্নীতিবাজ আমলা-কর্মচারী দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করুন এবং সকল দুর্নীতিবাজ, ট্যাক্স ফাঁকিবাজ; তথ্য গোপনকারীদের তালিকা প্রকাশ করুন। আমার লেখা শেষ করার পূর্বে জাতির জনকের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করবো- তিনি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে অতি দু:খ ও ক্ষোভের সাথে বলেছিলেন- ‘সবাই পায় স্বর্ণের খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি।’ উপসংহারে বলছি- চোরের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা দেশবাসীর মুখের গ্রাস কেড়ে খাচ্ছে, তাই এখনই এদের বিচার করতে হবে....।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ