বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গাজায় ইসরাইলী হত্যাযজ্ঞ প্রশ্নে আব্বাস বাদশা আবদুল্লাহকে ম্যাক্রোঁনের ফোন

১৫ মে, আনাদোলু এজেন্সি : গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সহিসংতা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনা নিয়ে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস ও জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহর সঙ্গে সোমবার টেলিফোনে কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি হামলা এবং জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাসের স্থানান্তর সম্পর্কে তিন নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।টেলিফোনে ম্যাক্রোঁ মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরে তার বিরোধিতার কথা পুর্নব্যক্ত করেন এবং ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও সংঘর্ষের নিন্দা জানান। তিনি একই সঙ্গে এই অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সকল দলকে সংযমের আহ্বান জানান। ম্যাক্রোঁ আজ মঙ্গলবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে সোমবার সীমান্ত এলাকার ওই বিক্ষোভে অংশ নেন লাখো মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি। তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইলি সৈন্যরা।১৯৬৭ সালে জেরুসালেম দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর থেকে তারা জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার বৈধতা দেয়নি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নেতারা দাবি করে আসছেন পূর্ব জেরুসালেম তাদের রাজধানী হবে।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের একক রাজধানীর স্বীকৃতি দেন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। এরপর জেরুসালেম বিষয়ে যেকোনও সিদ্ধান্ত অকার্যকর ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেও প্রস্তাব পাস হয়।

এদিকে, গাজা সীমান্তে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে আঙ্কারা। এছাড়াও, ৫৮ ফিলিস্তিনি হত্যার নিন্দা জানিয়ে দেশটি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।

সোমবার তুর্কি উপ-প্রধানমন্ত্রী বেকির বোজদাগ এসব তথ্য জানান।এদিকে, মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরেরকে প্রতিবাদে আঙ্কারায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে। এই বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় তুরস্ক। তুর্কি বিক্ষোভকারীরা এসময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পতাকা পুড়িয়ে দিয়ে এবং ইসরাইল-গাজা সীমান্তে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ করেন।বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন। এসব ব্যানারে লেখা ছিল: ‘আল কুদুস মুসলমানদের’। তারা পবিত্র যুদ্ধ এবং শহীদ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেয়।

একজন প্রতিবাদকারী আমেরিকানদের ‘কুকুর’ বলে সম্বোধন করে বলেন, ‘জেরুসালেম আমাদের, এটা আমাদের হবে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ