মাধবদীতে রমযানের পবিত্রতা রক্ষায় উলামা পরিষদের উদ্যোগে বিশাল মিছিল
মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা : মাহে রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করা, দিনের বেলা প্রকাশ্যে আহার বর্জন করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা, অশ্ললীলতা, বেহায়পনা ও গান বাজনা বন্ধ করার দাবী জানিয়ে গতকাল শুক্রবার জুম্মা নামায শেষে মাধবদী বাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে হাফেজ আল্লামা মকবুল হোসেন দাঃবাঃ নেতৃতে মাধবদী থানা উলামা পরিষদের উদ্যোগে এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। এসময় মাধবদী পৌর শহর ও বাজারের আশপাশের সবক’টা মসজিদ থেকে এক যোগে শত শত মুসল্লিরা এ মিছিলে যোগ দিলে মিছিলটি এক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে এ বিশাল মিছিলটি মাধবদী বাজারের প্রধান প্রধান গলিপথ প্রদক্ষিণ করে মাধবদী বাজারের বটতলা হয়ে ম্যানচেস্টার চত্তর, গরুহাট রোড়, শিতলা বাড়ি রোড, আনন্দী মোড় হয়ে ঢাকা-সিলেট মহা সড়কে উঠে মাধবদী বাসস্ট্যন্ড হয়ে পোস্ট অফিস মোড় এবং পৌরসভার মোড় হয়ে পুনরায় বড় মসজিদ প্রাঙ্গনে জমায়েত হন। এ সময় বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মাধবদী থানা উলামা পরিষদের সভাপতি ও মাধবদী বাজার বড় মসজিদের খতিব হাফেজ আল্লামা মকবুল হোসেন দাঃবাঃ, মাধবদী থানা উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আলগী মনোহরপুর গোরস্তান মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা জামাল উদ্দিন দাঃবাঃ এসময় নেতৃবৃন্দদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র এলাকার প্রবীণ আলেম হযরত মাওলানা শফি উদ্দিন দাঃবাঃ, মাওলানা আক্তরুজ্জামান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। উক্ত মিছিল সমাবেশটি পরিচালনা করেন ক্বারী মোঃ সানাউল্লাহ পাঠাান এসমযয় বক্তারা দাবী জানিয়ে বলেন মাহে রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, দিনের বেলা প্রকাশ্যে আহার বর্জন করতে হবে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে, অশ্লীলতা বন্ধ করতে হবে, বেহায়পনা ও গান বাজনা বন্ধ করার দাবী জানিয়ে আরো বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রমযানের পরিবেশ বিঘিœত হলে রোজাদার মুসল্লীগণ ঈমানের তাকিদে রোজার মাসেও আন্দোলন সংগ্রামে নামতে বাধ্য হবে। কাজেই সরকারের উচিত হবে রোজার পরিবেশ রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করা। তারা বলেন, সকল মাসের চেয়ে সম্মানিত মাস মাহে রমযান। এ মাসের যথাযথ মর্যাদা রক্ষার জন্য সর্বস্তরের মুসলমানকে এগিয়ে আসতে হবে। রমযানের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সরকারকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নাগালের ভিতরে রাখতে হবে। গরীব, অসহায় ও মেহনতি মানুষ যেন অর্ধাহারে ও অনাহারে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্রমিকের শ্রম কমিয়ে দিয়ে পুরাপুরি মজুরি প্রদান করা সকলের কর্তব্য। পবিত্র রমযান উপলক্ষে সকলকে মারামারি, হিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা ও চোগলখোরী ছেড়ে দিয়ে আত্ম সংযম অর্জন করতে হবে। পরে দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।