শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গ

স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো। অথচ এ জেলাগুলোতে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত বরিশাল ও চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাজেট ২২ শতাংশ ও ২০ শতাংশ। আর উত্তরবঙ্গের জন্য মাত্র ৪ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে সমবন্টন জরুরী। সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের (বিসিএএস) সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিসিএএস ও নেটজ বাংলাদেশ যৌথ আয়োজিত বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের ধরন ও প্রভাব বিষয়ে মিডিয়ার ভূমিকা শীষর্ক সেমিনারে এ সমীক্ষা তুলে ধরা হয়। বিসিএএসের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, নেটজ বাংলাদেশের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, আবহাওয়া অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ড. সমরেন্দ্র কর্মকার প্রমুখ।
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের  খরা প্রবণ ও নদী বিধৌত বন্যা প্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ধরন ও প্রভাব সমূহের উপর সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেন বিসিএএসের গবেষক ড. দ্বীজেন মল্লিক ও মিজানুর রহমান। সভার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিসিএএসর সিনিয়র রিসার্স কর্মকর্তা সাবাকুন নাহার পরশ।
সেমিনারে জাতীয় ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের সব বিভাগকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে অবহেলিত ও মঙ্গাপীড়িত উত্তারাঞ্চলকে একটু বেশি প্রধান্য দেওয়ার দাবি জানান তারা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগ তথা জেলার তুলনায় উত্তারাঞ্চলের জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাই বাজেটে তাদেরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন দেশ বলা হলেও আদতে তা হয়নি। দেশের বিভিন্ন জায়গাতে খাদ্যর চরম খাটতি রয়েছে। এখনো অনেক জেলার মানুষ তিন বেলার পরিবর্তে দুই বেলা খাবার গ্রহন করেন। তাদের পুষ্টির অভাব রয়েছে। স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় উত্তারাঞ্চলের এসব সমস্যা প্রকট। একই সঙ্গে তাদের অভাব-অনাটন অনেক বেশি। তাই দেশের উন্নয়ন বাজেটে এসব অঞ্চলবে প্রাধান দিতে হবে। অন্যথায় অবহেলিত এসব এলাকা আরো চরম অবহেলিত হয়ে পড়বে। 
বক্তারা বলেন, সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে সরে এসে দেশের সেবায় কাজ করতে হবে। বর্তমানের প্রাক্টিস হচ্ছে যে এলাকার মন্ত্রী দ্বায়িত্ব পান তিনি তার ক্ষমতাবলে নিজের এলাকায় বেশি বরাদ্ধ দেন। যা কখনো উচিৎ নয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ