শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই

স্টাফ রিপোর্টার : দিনের পর দিন বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। একটির দাম কমলে বেড়ে যাচ্ছে অন্যটির দাম। রোজার শুরুতে বেগুন-শশাসহ কয়েকটি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। বেগুনের দাম বেড়ে একশ টাকা বিক্রি হয়েছিল। এখন তা কমে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেমননি শশাসহ আরো কিছু সবজির দাম কমেছে। তবু বাজারের অধিকাংশ সবজির দামই ৫০-৬০ টাকা কেজি। এদিকে বৃদ্ধি পাওয়া চাল, ডাল ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। পেয়াঁজও বিক্রি হচ্ছে বৃদ্ধি পাওয়া দামে। আর চিনির দামও বাড়তি। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে, রমযানের শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়া বেগুন ও শশার দাম কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম এখনো নাগালের বাইরে। সবজির বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৫০-৬০ টাকা কেজি। শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৫০-৫৫ টাকা, ঢেঁরস ৪০-৪৫ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা এবং কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৬৫ টাকা, গাজর ৬০-৬৫ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনিয়াপাতা ৮০ টাকা  কেজি, কাঁচ কলা হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ টাকা এবং লেবু ২০ টাকা হালি করে বিক্রি হচ্ছে।
এই সপ্তাহে ছোলা বুট কেজিতে ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, ইসব গুলের ভুষি ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী বেলাল বলেন, রোজার কারণেই এখনও সবজির দাম কিছুটা বেশি। রোজা চলে গেলে হয়তো সব সবজির দাম কমে যাবে। তবে রোজার ভেতর এ দু'টি পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে রোজার আগেই বেড়েছে পেয়াঁজের দাম। গতকাল পেয়াঁজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। গত এক বছর ধরেই পেয়াঁজের দাম ছিল বেশি। টিসিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
টিসিবির প্রতিবেদন মতে, গত বছরের একই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকায়। কিন্তু এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টকায়।
ব্যবসায়ীরা মতে, উৎপাদন ও আমদানির উপর নির্ভর করে পেঁয়াজের দাম। যে বছর উৎপাদন ও আমদানি ভাল থাকে সে বছর দামও কম থাকে।
বাজারে দেখা গেছে, রমযানে প্রতিদিন ইফতারে ব্যবহৃত ছোলার দামও বাড়তে শুরু করেছে। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, ১ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৮৫ থেকে ৫৩০ টাকা। মশুর ডাল বিক্রি  হচ্ছে ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও রসুন ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বৃদ্ধি পাওয়া চালের দাম এখনো কমেনি। তবে নতুন করে দাম বাড়েনি। গুটি স্বর্ণা ৪২ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল মানভেদে ৫০ থেকে ৭৪ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু, খাসির গোশতের দাম। তবে সিটি কর্পোরেশনের বেধে দেয়া দামে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে না। প্রতি কেজি গরুর গোশত ৫০০ টাকা, খাসির গোশত ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ২৪০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি প্রতি পিস আকারভেদে ১৫০ থেকে ২২০ টাকা ও পাকিস্তানী মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়। রুই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, কাতল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, চাষ করা শিং মাছ ২২০ টাকা ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, কই ১৬০-১৮০ টাকা, পাঙাশ ১৩০-১৫০ টাকা, পাবদা ৫০০-৫৫০ টাকা, এবং মাগুর মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ