আমাদের কাছে ওনাদের চাহিদার কিছু নেই: হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের কাছে বাংলাদেশের চাহিদার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোলকাতার হোটেল তাজ বেঙ্গলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের মধ্যে যখন দেখা হয়, তখনই কথা হয়। আমরা চাই ওনারা বারংবার আমাদের এখানে আসুন, আর আমরাও চাই বারবার বাংলাদেশে যেতে। যেটা ওনারাও চান। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দুই দেশকেই ধরে রাখতে হবে। এরই মধ্যে আমাদের রাজ্যে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর নামে একটি মিউজিয়াম করতে চাই। সেটা ওনারা পারমিশান দিলে কাজ শুরু হবে। ওনারা ভালো আছেন, ভালো করছেন, ভালো করবেন। আমাদের কাছে ওনাদের চাহিদার কিছু নেই।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে বাউন্ডারি সীমারেখা থাকলেও আমরা এক প্রাণ। দুই দেশ উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ায় আমাদের সম্মান বেড়েছে। এই সমস্ত নানা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।”
তবে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেখ হাসিনার সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়
বৈঠক শেষে ভারতীয় সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোলকাতার হোটেল ত্যাগ করেন। রাত ৯ টা নাগাদ কলকাতার দমদমের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট নম্বর বিজি ১৫০৭ বিমানে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা।
পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ও বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন এবং আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে দুইদিনের সফরে কলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডি.লিট ডিগ্রি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে কলকাতা পৌঁছে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতন যান তিনি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সমাবর্তনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
শনিবার সকালে কোলকাতা থেকে বিমানে দুর্গাপুরের কাজী নজরুল বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে সড়কপথে দুপুরে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। এরপর শুরু হয় বিশেষ সমাবর্তন, সেখানে শেখ হাসিনাকে ডি-লিট ডিগ্রি দেয়া হয়।