শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ভাসানীর ফারাক্কা আন্দোলন পানির দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল

জিবলু রহমান : [পাঁচ] অন্যদিকে ভাগীরথী নদীর বাড়তি পানি ব্যবহার করে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও ভারত ফারাক্কার উজানে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর ব্যারাজ এবং উত্তর প্রদেশ ও বিহারে সেচের জন্য আরো প্রায় চারশ’ পয়েন্ট দিয়ে পানি সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছে। শুকনো মৌসুমে এসব পয়েন্ট থেকে হাজার হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহার করা হয়ে থাকে। এর প্রভাবে ফারাক্কা পয়েন্টে পানির প্রবাহ ব্যাপকভাবে কমে যায়।

পদ্মা ছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা, আত্রাই, বারনই, শিব ও রানী (ফকিন্নী), ছোট যমুনাসহ ১২টি নদ-নদীতেও পড়েছে এর প্রভাব। এসব নদী পলি ও বালু জমে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে এখন মৃতপ্রায়। ফলে শুষ্ক মৌসুমের আগেই নদীগুলো শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে । কিন্তু আশির দশক পর্যন্ত এসব নদীতে শুষ্ক মৌসুমেও পানি থাকত। সে পানি কৃষি জমির সেচ কাজের জন্য ব্যবহার করা হতো। জেলেরা মাছ শিকার করতেন, চলত নৌকাও।

এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের অন্তত ২০টি খাল এখন মৃতপ্রায়, যা এখন প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। এসব খালে এখন বিভিন্ন ফসল চাষ হচ্ছে। খনন না করায় শুষ্ক মৌসুমের আগেই এ অঞ্চলে কয়েক হাজার পুকুর শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। কিন্তু ৪০ বছরেও এসব নদী, খাল ও সরকারি-বেসরকারি পুকুরগুলো খনন বা সেগুলোতে পানি সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে সত্তরের দশকের শেষ দিকে এবং আশির দশকের প্রথম দিকে কিছু খাল খনন করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি। ফলে এ অঞ্চলের কৃষির সেচ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে ভূগর্ভস্থ পানি অতিরিক্ত মাত্রায় নিচে নেমে গেছে।

উজানের নদীকেন্দ্রিক পরিকল্পনার কারণে পলি জমা হয়ে পদ্মা নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আর এর প্রভাবে এ অঞ্চলের ১২টি নদী এখন মৃতপ্রায়। পদ্মাসহ এসব নদী সংস্কারের জন্য কোনো সরকারই পদক্ষেপ নেয়নি। পানির এ সঙ্কট কাটাতে নদীগুলো খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ ও রাজবাড়ীর পাংশায় ব্যারাজ নির্মাণের বিকল্প নেই। 

বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি নদীর উৎসস্থল ভারতে। ভারতের নদী অববাহিকাকেন্দ্রিক অর্ধশতাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। পানিকেন্দ্রিক এসব পরিকল্পনা ভারত একের পর এক বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তাদের পানিকেন্দ্রিক এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বাংলাদেশের নদী ও খাল-বিল পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এর প্রভাবে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কৃষি, সেচ, মৎস্য ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। 

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে বর্তমানে গড়ে ভূগর্ভস্থ পানির ১৩০ ফুট নিচের পাথর থেকে মাত্র ১৫ ফুট উপরে অবস্থান করছে। ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ কমে যাওয়ায় এবং গভীর নলকূপের সাহায্যে নির্বিচারে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়াসহ নানা কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলে ২৫ বছরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৪০ থেকে ৪৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। ১৯৮৫ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর ৪৪. ৬৭ ফুট নিচে ছিল। ১৯৯১ সালে তা নেমে ৪৮ ফুটে দাঁড়ায়। এছাড়াও ২০০৬ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলে সর্বনিম্ন পানির স্তর ৮৫ ফুট ছিল, যা ২০০৭ সালে ৯৩ ফুট, ২০০৯ সালে ৯৫ ফুট, ২০১০ সালে ১০০ ফুট এবং ২০১১ সালে ১০৫ ফুট নিচে ছিল।

অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে গাইবান্ধায় তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ সবগুলো নদীর চ্যানেল শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। যে কোন সময় নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা ও যমুনায় পানির প্রাপ্ত অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় নদীগুলো অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে শীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। নদী বুকে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য ডুবোচর। ফলে ওইসব চ্যানেলে শ্যালোচালিত নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করতে পারছে না। গাইবান্ধার ফুলছড়ি বালাসীঘাট, তিস্তামুখঘাট, সৈয়দপুর, এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, সদর উপজেলার কুন্দেরপাড়া, কামারজানি, গিদারি এবং সাঘাটা নৌ বন্দরে চলাচলকারী চ্যানেলে পানি চরম সংকট দেখা দিয়েছেল ২ বছর আগে। (সূত্র : দৈনিক সংগ্রাম ৭ মার্চ ২০১৬)

ফলে ওইসব নৌঘাট থেকে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, কর্তীমারী, চিলমারী, রৌমারী, জামালপুরের ইসলামপুর, বাহাদুরাবাদ, দেওয়ানগঞ্জ, ঘুটাইল, ফুলছড়ির সানন্দবাড়ী, ফুটানী বাজার, জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, খোলাবাড়ী, খাটিয়ামারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, বেলকাসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে এখন নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক নৌঘাট এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে নদীর বুকে বিশাল চর জেগে ওঠায় মাইলের পর মাইল এখন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় চরবাসীকে। ফলে তপ্ত বালিরাশিতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে।

২০১৫ সালের নবেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনাসহ ছোট-বড় শাখা নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করে। অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে নদীগুলো নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এখন। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তাসহ তিনটি নদীর পানি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেকেছে। এসব নদীর বুকে বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে এখন। 

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ বুয়েট একাডেমিক কাউন্সিল ভবনের সেমিনার কক্ষে ‘পানি ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ স্বীকার করে বলেছিলেন, এবার গঙ্গায় (পদ্মা) পানির প্রবাহ অনেক কম। পানি প্রবাহ কমে ৬০ হাজার কিউসেক থেকে ২৫ হাজার কিউসেকে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন, পানি প্রবাহ বাড়াতে নতুন ব্রহ্মপুত্রকে ছোট করা হবে। এতে এক থেকে দেড় হাজার হেক্টর জমি উদ্ধার হবে। এই জায়গার উন্নয়নের অনেক অবকাঠামো গড়ে উঠবে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব আইসিআইডি-ব্যানসিড, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো), ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম), সিজিআইএস, বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশিপ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন ও বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশিপের প্রেসিডেন্ট ড. খন্দকার আজহারুল হক। সভাপতিত্ব করেন পাউবো’র মহাপরিচালক ও ব্যানসিডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাসুদ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন।

পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এবার গঙ্গায় (পদ্মা) পানির প্রবাহ অনেক কম। পানি প্রবাহ কমে ৬০ হাজার কিউসেক থেকে ২৫ হাজার কিউসেকে দাঁড়িয়েছে। বিরূপ পরিস্থিতি সামাল দিতে ফারাক্কার একটি পাওয়ার স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এবার তিস্তায় পানি বেড়েছে।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পানি ব্যবস্থাপনাকে নতুন মাত্রায় উন্নত করতে হবে। ২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যা ২৫ কোটিতে পৌঁছাবে। টিকে থাকতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ জন্য পানির চাহিদা পূরণ করতে হবে। তাই টেকসই পানি উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে পানি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম বলেন, পানি প্রবাহ বাড়াতে নতুন ব্রহ্মপুত্রকে ছোট করা হবে। এতে এক থেকে দেড় হাজার হেক্টর জমি উদ্ধার হবে। এই জায়গার ওপর দিয়ে ৪ লেন সড়ক, শিল্প পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ উন্নয়নের অনেক অবকাঠামো গড়ে উঠবে। নতুন করে যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বদলে যাবে বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প শেষে তা ফেলে রেখে আসত। এতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে একসময় ওই প্রকল্প আর চাহিদা পূরণ করতে পারত না। এখন টেকসই করতে প্রকল্প শেষে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্টেকহোল্ডারদের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে।

বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় নদ-নদী বাংলাদেশের জন্য জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষায় বন্যা, শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্যতায় ভোগা নিয়মিত হয়ে পড়েছে। নদ-নদীর গতি-প্রকৃতির উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এ নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে তারাই বছরের পর বছর কাজটি করে চলেছে। তাদের ইচ্ছায় আমরা বন্যায় ভাসি, আবার শুকিয়ে মরি। জীবন-মরণ এই সমস্যা এখন এতোই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, এর সমাধান না হলে অদূর ভবিষ্যতে মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায়ই আমাদের সামনে থাকবে না।

পানির আগমন নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্যের কয়েকমাস পরে আবার জাতি দেখলো কীভাবে বন্যার পানি দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দেয়া হলো। ২০১৬ সালের আগস্টে ফারাক্কা ব্যারেজের খুলে দেয়া গেটের প্রভাবে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছিল। ভারত সরকার বিহার রাজ্যের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে ফারাক্কার ১১৭টি গেটের মধ্যে ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছিল। এতে উজান থেকে নেমে আসা পানি পদ্মা ও পাগলা নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে প¬াবিত হয় নতুন নতুন গ্রামাঞ্চল। এছাড়া প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। (সূত্র : দৈনিক সংগ্রাম ২৯ আগস্ট ২০১৬) 

গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি সম্পর্কে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি থাকলেও অপর অভিন্ন ৫৩টি নদী সম্পর্কে দুইদেশের মধ্যে কোন চুক্তি নেই। বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের অসংখ্য বাঁধ, খাল, পানি সংরক্ষণাগার ও সেচ প্রকল্পের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদ-নদীর প্রবাহ ধীরে ধীরে কমে আসছে এবং এর ফলে দেশের উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশাল সংরক্ষণাগারের জন্য বাংলাদেশ অনেক বেশী সমতল। বাংলাদেশ বলছে, ভারত যদি তার স্কীম নিয়ে এগিয়ে যায় তাহলে বর্তমানে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহে স্বাভাবিকভাবে প্লাবিত বিস্তীর্ণ কৃষিভূমিতে সেচের মাধ্যমে পানি যোগানের জন্য এদেশকে বিপুল ব্যয়বহুল খাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হতে পারে। এর জন্য বিপুল পরমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। তবে আমাদের টিকে থাকতে হলে এর প্রয়োজন হতে পারে। এ মুহূর্তে সবার জন্য যথেষ্ঠ পানি রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় পরিকল্পনা ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। 

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ২৭ মে ২০১৪ ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংষদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বৈঠকে তিস্তা চুক্তি সই ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এ বিষয় দুটির সমাধান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছি, সার্ক সদস্যদেশগুলোর সম্পর্ক বিকাশের জন্য এই আমন্ত্রণ এক জোরালো বার্তা।’ তিনি বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি সই ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়গুলো “সক্রিয়ভাবে বিবেচনা” করার আশ্বাস দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।’

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গটি শিরীন শারমিন চৌধুরী তুলেছিলেন। নরেন্দ্র মোদি তাঁকে বিষয় দুটি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। (সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো ২৮ মে ২০১৪)

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ