শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কিমের চিঠি পেয়েছেন ট্রাম্প

১ জুন, বাসস : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের পাঠানো একটি চিঠি পেয়েছেন। দুই নেতার মধ্যে আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ঐতিহাসিক পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক সম্মেলনের পদক্ষেপকে এগিয়ে নেয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠানো হয়। বাসস

কিম জং উনের বিশ্বস্ত সহযোগী ও উত্তর কোরিয়ার সাবেক গোয়েন্দা প্রধান জেনারেল কিম ইয়ং চল এই চিঠি পৌঁছে দেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সঙ্গে নিউইয়র্কে বৈঠক করেছেন কিম ইয়ং চল। বৈঠকে আসন্ন ট্রাম্প-কিম বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

এদিকে পিয়ংইয়ংয়ে ফিরে গিয়ে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন জেনারেল কিম। ট্রাম্পকে কিমের চিঠি পাঠানোর বিষয়টি, নির্ধারিত ১২ জুনের সম্মেলন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘প্রকৃত অগ্রগতি’ হিসেবে দেখছেন মার্কিন কূটনীতিকরা। বাসস

তবে ট্রাম্প ঠিক কখন তাদের ওভাল অফিসে আমন্ত্রণ জানাবেন তা এখনও নিশ্চিত হয়নি বলে বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা। ২০০০ সালের পর চোলই উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ পর‌্যায়ের কোনো নেতা যিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন। আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম নজিরবিহীন সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলন আয়োজন নিশ্চিত করতেই উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলটি ওয়াশিংটন গেছে। তার আগে মার্কিন একটি প্রতিনিধি দল পিয়ংইয়ং সফর করে এসেছে। কিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আশাবাদী ট্রাম্প দেশটিকে পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে চাপ দিতে চান। তবে তাদের সম্মেলনের আগে দুই দেশের শীর্ষ পর‌্যায়ের কর্মকর্তাদের আরও কয়েক দফা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি প্রথম বৈঠকেই এ কাজ শেষ করতে চাই। কিন্তু বেশিরভাগ সময় এভাবে চুক্তিতে উপনীত হওয়া যায় না। প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় বৈঠকেও একটি চুক্তি না হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। তবে কিছু কিছু বিষয়ে নিশ্চিয়ই একমত হওয়া যাবে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর কণ্ঠেও এক সুর শোনা গেছে। চোলের সঙ্গে বৈঠকের পর ‘সত্যিকারের অগ্রগতি’ হয়েছে বলার পরিবর্তে তিনি সতর্ক গলায় বলেন, খুব সম্ভবত দ্রুত সমাধান আসবে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ