বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মঙ্গলে যাবে নাসার হেলিকপ্টার

আবু হেনা শাহরীয়া: মঙ্গল গ্রহে ছোট একটি হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। ২০২০ সালে লাল গ্রহটিতে পরবর্তী প্রজন্মের একটি রোভার বসানোর মিশনের একটি অংশ হিসেবে হেলিকপ্টারটি পাঠাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। হেলিকপ্টারটির পাঠানোর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অন্য গ্রহে এ ধরণের উডুক্কুযান ব্যবহার করবে নাসা, বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
মঙ্গলের পাতলা বায়ুমন্ডলে উড়তে পারবে এমনভাবেই নকশা করা হয়েছে রিমোট নিয়ন্ত্রিত হেলিকপ্টারটি। প্রায় চার পাউন্ড ওজনের কপ্টারটিতে টুইন কাউন্টার-রোটেটিং ব্লেড রয়েছে। হেলিকপ্টারটির বডি একটি টেনিসবলের আকারের সমান। নাসা জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটির ব্লেড মিনিটে প্রায় তিন হাজার বার ঘুরবে যা পৃথিবীতে ওড়ানো হেলিকপ্টারের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।
নাসা’র জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরিতে মার্স হেলিকপ্টারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিমি আং এক বিবৃতিতে বলেন, পৃথিবীতে যে কপ্টারগুলো ওড়ানো হয় তার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৪০ হাজার ফুট। পৃথিবীর মায়ুমন্ডলের তুলনায় মঙ্গলের বায়ুমন্ডল এক শতাংশ। তাই আমাদের হেলিকপ্টার যখন মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে যাবে এটি ইতোমধ্যেই পৃথিবীর তুলনায় এক লাখ ফুট উচ্চতায় ওড়ার অবস্থায় থাকবে।
নাসার এক কর্মকর্তা বলেন, একটি গাড়ির আকারে রোভারের সঙ্গে জুড়ে রোটরক্রাফটটি লাল গ্রহটির ভূমিতে নেওয়া হবে।
ভূমিতে হেলিকপ্টারটি রেখে কমান্ড দেওয়ার জন্য রোভারটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হবে। হেলিকপ্টারের ব্যাটারি চার্জ হলে এটির প্রথম স্বয়ংক্রিয় উড্ডয়নের কমান্ড দেবেন পৃথিবীতে থাকা নিয়ন্ত্রণকারীরা।
এক বিবৃতিতে নাসা প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, অন্য গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়ানোর ধারণাটি রোমাঞ্চকর। মঙ্গল গ্রহে এ ধরনের উডুক্কুযান কতোটা টেকসই এবং কার্যকর সেটিই হেলিকপ্টারটি দেখাবে বলে জানিয়েছে নাসা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি আরও জানায় হেলিকপ্টারটির উড্ডয়ন পরীক্ষার জন্য ৩০ দিনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পাঁচবারের মতো আকাশে উড়বে হেলিকপ্টারটি।
প্রথম পর্যায়ে খাড়াভাবে উপরে উঠে ১০ ফুট উচ্চতায় প্রায় ৩০ সেকেন্ড ভেসে বেড়াবে হেলিকপ্টারটি। ধীরে ধীরে উড্ডয়নের সময় ৯০ সেকেন্ডে নিয়ে একশ’ গজ পাড়ি দেওয়ানো হবে। হেলিকপ্টারটির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি চার্জ দিতে এতে সৌর কোষ রাখা হয়েছে। হিমশীতল রাতে হেলিকপ্টারটি গরম রাখতে এতে একটি উষ্ণতা ব্যবস্থাও রয়েছে।
ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে ২০২০ সালেই জুলাই মাসে রোভার মিশন শুরু করার কথা রয়েছে নাসার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গলে পৌঁছাবে রোভারটি। গ্রহটিতে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা এবং বাসস্থান শণাক্তকরণের লক্ষ্যেই নকশা করা হয়েছে রোভারটি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ