নেত্রকোনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অব্যবস্থাপনার দায়ে ৩টি হাসপাতালকে জরিমানা
দিলওয়ার খান, (নেত্রকোনা): দীর্ঘ্য দিন যাবৎ শহরে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সমূহ রোগী সেবা, চিকিৎসার নামে বিভিন্ন ভাবে রোগীদের ঠকিয়ে আসছে।
বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মঈনউল ইসলাম এর নির্দেশে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ৬টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে নানারকম অব্যবস্থাপনার অপরাধে বুধবার (৩০ মে) দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় বেসরকারি দু’টি হাসপাতাল ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা করে এই আদালত।
অভিযান পরিচালনাকালে যমুনা ডিজিটাল ডায়গনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারকে অপরিছ্চন্ন ল্যাব ও অনুমোদন পত্র না থাকায় ৮ হাজার টাকা, সেন্ট্রাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক (প্রা:) কে অপরিচ্ছনতা, অপারেশন থিয়েটারে শীতাতপ যন্ত্র বিকল থাকা, অপর্যাপ্ত জায়গায় রোগী রাখা, মূল্য তালিকা না থাকার কারনে ২০ হাজার টাকা, নিউ স্বদেশ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ডাক্তার ও নার্স স্বল্পতা, রোগীদের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০ হাজার টাকা “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ও মেডিকেল প্র্যাকটিশ এর বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ ধারায় উক্ত জরিমানা করেন বিজ্ঞ আদালত।
এছাড়াও প্রাইম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টার, নূরজাহান ডিজিল্যাব এন্ড মেডিকেল সেন্টার ও এনাম মেডিকেল সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় আরো মানসম্মত সেবা দেয়ার পরামর্শ দেন বিজ্ঞ আদালত।
ভ্রাম্যমানণ আদালত পরিচালনা করেন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত ও ফারহানা ইয়াসমিন।
অভিযানকালে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে চিকিৎসক উত্তম কুমার পালসহ জেলা পুলিশ, মিডিয়া কর্মী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।