শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

জিআরপি থানার ওসি জানেন না কালোবাজারী আটকের খবর!

সিলেট ব্যুরোঃ সিলেট ভিআইপি রেলস্টেশনে উল্লেখযোগ্য হারে কালোবাজারী না থাকলেও কয়েকজন ভিআইপি মানের কালোবাজারীর দাপটে অতিষ্ঠ সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট নিতে আসা যাত্রী সাধারণ। কয়েকবার জেল খেটে কবির হোসেন বর্তমানে টিকেট কালোবাজারীর সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে অপর কালোবাজারী ফার্স্টফুট ব্যবসার অন্তরালে কালোবাজারে টিকেট ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। তার নাম আলমগীর। প্রতিদিনই ১০/২০টা টিকেট চড়া দামে মানুষের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে জিআরপি থানা পুলিশের মুখে যেন কুলুপ লাগানো রয়েছে। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে এক টিকেট কালোবাজারীকে আটকের পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর। এই আটক নাটকের ঘটনা জানেন না সিলেট জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন। এ নিয়ে জিআরপি থানা পুলিশ সদস্য ও রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
জানা যায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কর্তৃক ঐ কালোবাজারীকে আটকের প্রায় চার ঘন্টা পর ৩০ হাজার টাকায় দফারফা করে  ছেড়ে দেয়া হয়। লোক মুখে খবর পেয়ে এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় আলমগীর হোসেন নামের এক টিকেট কালোবাজারীকে সিলেট নতুন রেলওয়ে স্টেশন থেকে আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। সে স্টেশনের ভেতরের রোজেস ফাস্ট ফুড নামের একটি দোকানের মালিক। সে দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনের ভেতরে ফাস্ট ফুডের ব্যবসার নামে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি করে আসছে। আটকের সময়ও তার কাছ থেকে সিলেট- ঢাকা ও সিলেট- চট্টগ্রামের ২০টি টিকেট পাওয়া যায় বলে রেলওয়ের একাধিক সূত্র জানায়।
সুত্র আরো জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় আলমগীরকে আটকের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আরএনবি সিলেট রেলওয়ে শাখার প্রধান পরিদর্শক (সিআই) নুর মোহাম্মদের কাছে। সেখানে রাত ১১টা পর্যন্ত আরএনবি সদস্যরা তাকে আটকে রাখে। প্রায় চার ঘন্টা আটকে রাখার পর ৩০ হাজার বিনিময়ে তাকে রাত ১১টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) দায়িত্ব হচ্ছে রেলওয়ের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করা। কিন্তু, প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে চলন্ত ট্রেনে এবং স্টেশনের প্লাটফর্মে যাত্রী হয়রানী এবং টিকেট কালোবাজারীর অভিযোগ উঠে। আইনানুযায়ী, টিকেট কালোবাজারী কাউকে হাতেনাতে ধরলে তাকে রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় সপোর্দ করার কথা। কিন্তু গত শনিবার প্রায় চার ঘন্টা আলমগীরকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) আটকে রাখলেও তাকে জিআরপিতে হস্তান্তর করা হয়নি। এমনকি বিষয়টি জিআরপিকে অবগতও করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সিলেটের জিআরপি থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন দৈনিক সংগ্রামকে জানান- বিভিন্ন সূত্রের কাছ থেকে তিনি এক টিকেট কালোবাজারী আটকের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতাও পান। তবে, আরএনবি কর্তৃপক্ষ আটককৃতকে পুলিশে সপোর্দ না করায় জিআরপির পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে সিলেট আরএনবির প্রধান পরিদর্শক (সিআই) নুর মোহাম্মদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ