বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজশাহী নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের পুকুরগুলো রাসিক সংরক্ষণ করবে -মেয়র বুলবুল

রাজশাহী অফিস : রাজশাহী নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের পুকুরগুলো সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে। যা এখানকার পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় কাজ করবে।
গত মঙ্গলবার মহানগরীর সপুরা বিসিক এলাকার মঠপুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ পরিদর্শনকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এই তথ্য জানান। এ সময়  মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মহানগরীর প্রাকৃতিক জলাশয়সমূহ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে ১৬টি প্রাকৃতিক জলাধার ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এনে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি জলাশয়ের চারপাশে কাঠামো নির্মাণ করে প্রাকৃতিক উদ্যানের আদলে উন্নয়ন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট দাখিল করা হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় কাঁঠালবাড়ীয়া গাইপুকুর, রাণীদিঘী, দাসপুকুর, মহিষবাথান দিঘী, কাজিহাটা নিস্কৃতি ক্লিনিকের নিকট পুকুর, কাদিরগঞ্জ দিঘী, উপশহর মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন পুকুর, সপুরা শুকনা দিঘী, দক্ষিণ নওদাপাড়া তালপুকুর, ছোটবনগ্রাম মাঝীপুকুর, সাগরপাড়া দিঘী, মেহেরচন্ডী বড় দিঘী, শিরইল মঠপুকুর, ভদ্রা স্মৃতি অম্লান সংলগ্ন আব্দুল মালেকের পুকুর, কাজলা বড়দিঘী, মোহনপুর জেবের মিয়ার পুকুর সংরক্ষণের জন্য অধিগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মেয়র। মেয়র আরো বলেন, বিসিক এলাকার মঠপুকুরটির সিঁড়ি হবে নান্দনিক শোভায় সজ্জিত। এছাড়াও থাকবে চলাচলের জন্য টাইলস বসানো ফুটপাত ও বসার স্থান। সেই সাথে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফুল গাছ এবং অন্যান্য বৃক্ষরোপ করা হবে। পুকুরের চারধার বাঁধানোর কাজ এবং এলাকার জনগণ যাতে করে পানি ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উন্নত মানের রাস্তার কোন বিকল্প নাই : আধুনিক শহর গড়ার পূর্বশর্ত হলো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর এই যোগাযোগের মুল মাধ্যম হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়ন। উন্নত রাস্তা স্বল্প সময়ে যোগাযোগ করা যায় এবং জনগণের প্রবেশ বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে সিটি কর্পোরেশন এলাকার সমস্ত রাস্তা পর্যায়ক্রমে সংস্কার ও নতুনভাবে করা হচ্ছে বলে জানান সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসন বুলবুল। তিনি গতকাল বুধবার নওদাপাড়া রায়পাড়ার রাস্তা সংস্কারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে রাস্তার কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করেন মেয়র। তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে পাড়া মহল্লার অনান্য স্থানের বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অবশিষ্ট রাস্তাগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন ভাঙা বা চলাচলের অযোগ্য রাস্তা থাকবে না। সেইসাথে শহরের উপর যানবাহনের চাপ কমাতে এবং জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে সিটি বাইপাস সহ নতুনভাবে বড় রাস্তার কাজ এগিয়ে চলছে। এছাড়াও নিয়মিত রাস্তা সংস্কার করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখার পরামর্শ প্রদান করেছেন মেয়র।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ