শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রমযান মাসে পরিপূর্ণ মুত্তাকি হওয়ার মাধ্যমে কুরআনের আলোকে জীবন গড়তে হবে

ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কুরআনের বিধান পরিপূর্ণভাবে কায়েম করার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন সম্ভব। কুরআনের আইন থেকে দূরে থাকার কারণেই আমরা আজ হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ও বিভিন্ন সংকটে নিমজ্জিত। তাই পবিত্র রমযান মাসে পরিপূর্ণ মুত্তাকি হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সকলকেই কুরআনের আলোকে জীবন গড়তে হবে।
গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে বক্তারা একথা বলেন। মসজিদ মিশনের সহ সভাপতি ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. ইয়াহইয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মাদ আব্দুর রউফ। বক্তব্য রাখেন ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদ সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারী জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, শর্ষীনার ছোট পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, টেকের হাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী,আন্তর্জাতিক কারী গোলাম মোস্তফা,মুফতি ফয়জুল্লাহ কাসেমী, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা কাজী জালাল উদ্দীন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম, মুফতি মিজানুর রহমান, ঢাকা উত্তরের উলামা বিভাগের দায়িত্বশীল মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মুফতি মাসউদুর রহমান, মুহাদ্দিস আবুল হাসান, জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান, খেলাফতে রব্বানীর আমীর মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আ.ন.ম রফিকুর রহমান মাদানী, ফুলতলী দরবার শরীফের শায়খুল হাদীস মাওলানা সাইফুল ইসলাম, কুরআন-সুন্নাহ পষিদের সভাপতি মাওলানা ফখরুদ্দীন, কুরআন-সুন্নাহ পরিষদের মহাসচিব শায়খ নাছিরুদ্দীন হেলালী, মীরের সরাই পীর মাওলানা আব্দুল মোমিন নাসেরী, মুফতি মাওলানা তাজুল ইসলাম কাওসারী, অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। 
প্রধান অতিথি বলেন, পবিত্র রমযান মাস আত্মশুদ্ধির ও কুরআন চর্চার মওসুম। পবিত্র কুরআনের কাছে সকল প্রশ্ন ও সমাস্যার সমাধান নির্ভূল ভাবে পাওয়া যায়।তাই আমাদেরকে সকল ভেদা-ভেদ ভুলে পবিত্র কুরআনের আলোকে জীবন গড়তে হবে। তাহলেই আদর্শ সমাজ গড়া সম্ভব। রমযানে তাকওয়া অর্জন করতে না পারলে আপনার আমার জীবন একেবারেই বৃথা।
প্রফেসর ড. ইয়াহইয়ার রহমান বলেন, তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গড়তে পবিত্র রমযান উপযুক্ত মওসুম। কিন্তু রমযান মাসে জুলুম, নির্যাতন ও অপরাধ প্রবণতা থেকে নিবৃত হতে না পারলে তাকওয়া অর্জন হবে না।
মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, সমাজ থেকে সকল ধরনের অপরাধ, দুর্নীতি, মাদকতা ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমাদের সকলকে কুরআরে আলোকে তাকওয়া ভিত্তিক জীবন গড়তে হবে। মহানবী (সা.) বলেন-একমাত্র মুসলমান সেই যার হাত ও জবান থেকে অন্য সকল মানুষ নিরাপদে থাকে। বুখারী ও মুসলিম। ইসলামের সুমহান এ দিক্ষা ও দিকনির্দেশনা সমাজেরসকল শ্রেনীর মুসল্লির মাঝে ব্যাপকভাবে চর্চা হলে তাকওয়ার আসল ফল পাওয়া যাবে। সকল প্রকারের অন্যায়, অপরাধ অশীøলতা, পাপাচার, অনাচার, মিথ্যা কথা, বাজে কাজ বর্জন করতে না পারলে রোজার ফজিলত পাওয়া যাবে না এবং তাকওয়া অর্জন হবে না তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠন করার জন্য কুরআনী শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামুলক করতে হবে।ইসলাম বিরোধী নীতিসমূহ বাতিল না করলে গোটা সমাজ ব্যবস্থা রসাতলে যাবে।
মাওলানা আবু তাহের জিহাদী বলেন, কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করলে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধ হওয়া সম্ভব। জানার জন্য ও মানার জন্য কুরআন অধ্যায়ন করতে হবে। ঈমান ও আমলের মিল থাকতে হবে।
মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী বলেন, সমাজ উন্নয়নে, আদর্শ সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। দলাদলি, ফেরকাবাজী বাদ দিয়ে আমাদের বোধ-বিশ্বাস হেফাজত করতে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ