শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা

স্টাফ রিপোর্টার : স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যান। প্রতনিধি দলে ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার, সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আশ্রাফুল হক লাভলু। গতকাল শুক্রবার সকালে এই পাঁচ সদস্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত সারাদেশে পাঁচ হাজারের অধিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫ থেকে ২০ বছর যাবত ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পাঠদান করে শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত কষ্টকর ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে ৫-১০ বছর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সারাদেশে উন্নয়নবঞ্চিত অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১২ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারী করা হয়েছে। এই নীতিমালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চলতি ২০১৮-১৯ বাজেটে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দের কোন সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। যার ফলে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীর অত্যন্ত হতাশ ও আশাহত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির সারাদেশের নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি হলে সকলেই সন্তুষ্টচিত্তে রাষ্ট্রপতির অবদান চিরস্মরণ করবে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও জানান ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিকী অনশন করবেন তারা। রোববার অবস্থান কর্মসূচি। আর সোমবার আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। এ বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, শুনলাম এক হাজার স্কুল-কলেজকে এমপিওর আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমরা সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মানি না। তিনি বলেন, এমন উদ্যোগের মাধ্যমে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের একটা পথ বের করবে মন্ত্রণালয়।
২০১০ সালের সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এমপিও পাওয়ার স্বীকৃতি পায়। এই ৮ বছরে এমপিও পাওয়ার জন্য প্রায় ৭ হাজার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে। আর সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিও করা না হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিনয় ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ২৬ হাজার রেজিস্ট্রার প্রাইমারি স্কুল প্রধানমন্ত্রীর এক ঘোষণায় জাতীয়করণ হয়ে গেছে। আমাদের এমপিও করার ঘোষণা একইভাবে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তাহলে কেন করা হবে না সবাইকে একযোগে এমপিও?

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ