শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাত পোহালেই গাজীপুরে ভোট

# সকল নেতাকর্মীর ভোট কেন্দ্রে থাকতে হবে -হাসান উদ্দিন সরকার
# সকলকে নিয়ে নগরীর উন্নয়ন করতে চাই -জাহাঙ্গীর আলম
গাজীপুর থেকে মোঃ রেজাউল বারী বাবুলঃ সামনের রাত  পোহালেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ভোট। উৎসব আমেজের পাশাপাশি বিএনপি প্রার্থী, নেতার্কী ও ভোটারদের মাঝে শংকা বিরাজ করছে। প্রচার প্রচারণার শেষ দিন রবিবার মেয়র প্রার্থীরা পূর্ব নির্ধারিত কোন প্রচার প্রচারণা ছিল না। সংবাদ সম্মেলন ও নেতা কর্মীদের সাথে নির্বাচনী বিভিন্ন কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা ও সাক্ষাৎ করে ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে তাদের কর্মী সমর্থকরা নগর জুরে ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় অংশ নেন। ধানের শীষ প্রতীকে ২০ দলীয় জোট মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন,, পুলিশ দিয়ে ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ও হুমকি-ধমকি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বানচাল করে দিয়েছে। সকল বাধা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও দায়িত্বের সাথে সকল নেতাকর্মীকে ভোট কেন্দ্রে থাকতে হবে।  শেষ পর্যন্ত থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নোংরা চরিত্র জাতির সামনে তুলে ধরবো। সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমাকে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব দেন, দল মত হয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে নগরীর উন্নয়ন করতে চাই।
শেষ দিনের প্রচার প্রচারণায় আরো সরব হয়ে উঠেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা। রাত পেরোলেই মঙ্গলবার ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২য় ভোট। ২য় বারের মতো নির্ধারিত হবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। গাজীপুরের এ নির্বাচনে মেয়র পদের তালিকায় ৭ প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকলেও সবার দৃষ্টিই এখন প্রধান দু’দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দু’মেয়র প্রার্থীর দিকে। উভয় জোটের নেতাকর্মীরা নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে নানা পরিকল্পনায় এলাকায় গণসংযোগ সম্পন্ন করেছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে ফেলবে এমন ধারণায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এ নির্বাচনকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধান এ দুই জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনী মাঠে নেমেছিলেন। তারা নিজ জোটের মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সমর্থন আদায়ের জন্য ভোটারদের কাছে ছুটেছেন। তারা নানা কৌশলে ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২৩ জুন রাত ১২টার পর থেকে বহিরাগতদের গাজীপুরে অবস্থান নিষিদ্ধ থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত খুলনার মেয়রসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দ ২৪জুন রবিবারও জাহাঙ্গীরের পক্ষে গণসংযোগ ও নির্বাচনী বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
২০দলীয় জোট প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ২০ দলীয় জোট মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, গত ২০ জুন নির্বাচন কমিশন ও তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনী মাঠে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বরং খুলনা স্টাইলে নির্বাচন করার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ও হুমকি-ধমকি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বানচাল করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০ দলীয় জোটের ৭৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীকেও পুলিশের গাড়িতে দেখা যাচ্ছে। খুলনার কারচুপির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পুলিশ সদস্যদের ইতিমধ্যে গাজীপুরের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য আনা হয়েছে। কিন্তু শত বাধা সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নোংরা চরিত্র জাতির সামনে তুলে ধরবো।
হাসান সরকার রোববার টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের গোপন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, বাইরে থেকে সিল মেরে ভেতরে ঢুকানো হবে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের পুলিশ দিয়ে আটকে রেখে জোরপূর্বক তাদের বানানো রেজান্ট শীটে স্বাক্ষর নেয়া হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাক্ষর না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের হতে দেবে না। খুলনার মত কারচুপি যাতে ধরা না পড়ে সেজন্য ইতিমধ্যে তারা একটি সুবিন্যাস্ত রেজাল্ট শীট তৈরি করে রেখেছে। তাদের দলীয় ৫০ জন কাউন্সিলরকেও চূড়ান্ত করে রেখেছে।
হাসান সরকার ঝড়-বৃষ্টি ও সকল বাধা উপেক্ষা করে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা আওয়ামীলীগের সকল অপকৌশল জেনে গেছি। আমরা তাদের এসব অপকৌশল প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। তিনি মঙ্গলবার সকাল ৭টার মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকের সকল এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘেœ আসার আহবান জানান এবং কেন্দ্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মীকে কেন্দ্রের পাশে অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ জানান।
হাসান সরকার বলেন, আওয়ামীলীগ মুক্তিযোদ্ধের চেতনার কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কতটুকু সম্মান করে? এই নির্বাচনে আমি হয়তো শেষ মুক্তিযোদ্ধা হবো। আগামীতে হয়তো আর কোন মুক্তিযোদ্ধাকে আপনারা নির্বাচনে পাবেন না। তাই সকল মুক্তিযোদ্ধাকে আমার পক্ষে ভূমিকা রাখার আহবান জানাই।
তিনি বলেন, সুনামের সাথে বেঁচে থাকতে চাই। মানুষের ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই না। জীবনের এই শেষ নির্বাচনে জীবন দিয়ে হলেও গাজীপুরবাসীর ইজ্জত রক্ষা করবো। তিনি সাংবাদিকদের সঠিক চিত্র তুলে ধরার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ্র পরে আপনারা আমাদের ভরসা। আপনারা সঠিক চিত্র তুলে ধরতে পারলে এবং ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট হলে সম্মানজনক ভোটে বিজয়ী হবো।
তিনি ভোটারদের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, শত উস্কানি ও উৎপীড়নের মধ্যেও ভোটাররা স্বত:স্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা তৎপরতার সমালোচনা করে হাসান সরকার বলেন, আমি কাপুরুষ নেতা নই। আমার এখানে গোপন কিছু নেই। আমি কলকাতা হোটেলে গিয়ে ঘুরাঘুরির মুক্তিযোদ্ধা নই। আমি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে এসে শত্রুর মোকাবেলা করেছি। আমি অন্যায়ভাবে নির্বাচিত হওয়া প্রত্যাশা করতে পারি না। বাংলাদেশে যে কয় জনের অধিক নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমি তাদের থেকে কম নই।
তিনি বলেন , আমি এ যাবত যথাযথভাবে আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছি।
আপরদিকে আওয়ামীলীগ আচরণবিধির কোন তোয়াক্কা করছে না। তাদের মন্ত্রী-এমপিরাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকায় অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে খুলনার বিতর্কিত ভোটের মেয়রসহ কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও আজকে (রোববার) প্রচারণা করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, খুলনার ওই মেয়র এখনো গাজীপুরে অবস্থানের মধ্যে গভীর রহস্য নিহীত। তাকে ভোট কারচুপির প্রশিক্ষণের জন্য এখনো গাজীপুরে রাখা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলমের গণসংযোগ
রবিবার দুপুরে নিজ বাসার সামনে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমাকে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব দেন,দল মত হয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে নগরীর উন্নয়ন করতে চাই। এছাড়া জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন রবিবার গণসংযোগ ও বৈঠক করে ব্যস্তদিন কাটিয়েছেন। এদিন সকালে তিনি নগরীর সালনা এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। পরে তিনি চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ি, বাসন, জয়দেবপুর, শিববাড়ি, গাছা, বোর্ডাজার, টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় গণসংযোগ করেন। দুপুরে তিনি ছয়দানা এলাকার নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলণে বক্তব্য রাখেন।
পথসভায় বক্তব্য কালে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত নির্বাচনে এ সিটির মেয়র পদে বিএনপি নির্বাচিত হলেও গত ৫ বছরে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। গাজীপুরের মানুষ আর অনুন্নয়ের পথে থাকতে চান না। গাজীপুরের মানুষ এবার উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবেন। তাই এ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সকল ভোটারকে আগামী ২৬ জুন এ নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমণ¦য়ক ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আজমত উল্লাহ খানসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন শনিবার রাত ১২টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে বহিরাগত ব্যক্তিদের চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ২৬ জুন ভোটের দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় বহিরাগত ব্যক্তিদের চলাফেরায় এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। ২২ জুন এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু কমিশনের এই নির্দেশনা ভেঙে গাজীপুরে নির্বাচনী কর্মকা- পরিচালনা করেছেন সরকারদলীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল রবিবার নগরের হারিকেন এলাকায় মতবিনিময় সভা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যও দিয়েছেন।
অন্যদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক চালিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারপ্রচারণা।
নজিরবিহীন প্রস্তুতি গাজীপুরে
নজিরবিহীন কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সার্বিক নিরাত্তার জন্য বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিজিবি সদস্যদের বহনকারী যানবাহন গাজীপুরে মহাসড়কের চলাচল করতে দেখা গেছে, তারা বিভিন্ন এলাকা রেকি করছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৯ প্লাাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে পুরো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। পোশাক ছাড়াও বিপুল পরিমাণ পুলিশ সাদা পোশাকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, রবিবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ইতোমধ্যে ৯ হাজার ভোটগ্রহন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের ৪২৫টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩৩৭টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৮৮টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গুলোতে পুলিশ, আনসার ভিডিপিসহ ২৪ জন (১২ জন অস্ত্রধারী) সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ২২ জন (১০ জন অস্ত্রধারীসহ) সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ৫৭টি সাধারণ এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড বিশিষ্ট এ সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭। এরমধ্যে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।
এ নির্বাচনে ৭ জন মেয়র পদে, ৮৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ