আসামে ‘বিদেশী’ আখ্যাপ্রাপ্ত ১০২ বছর বয়সী কয়েদির মুক্তি
৩০ জুন, বিবিসি বাংলা : ভারতের আসামের বরাক উপত্যকার ১০২ বছর বয়সী চন্দ্রধর দাস বিদেশি বন্দী শিবিরে থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় তিন মাস ধরে বন্দী শিবিরে আটক থাকার পর তাকে বুধবার জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন তিনিভারতীয় নাগরিকত্বের একাধিক প্রমাণ থাকা সত্তে¦ও বিশেষ এক ট্রাইব্যুনালে তাকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করেছিল এবং পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল তথাকথিত ‘বিদেশি বন্দী শিবিরে। চন্দ্রধরের আইনজীবী সৌমেন চৌধুরী জানিছেন, বয়সের কারণে কয়েকবার ভোট দিতে যেতে না পাড়ার কারণে সন্দেহজনক ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তাকে। পরে নির্বাচন কমিশনের ভেরিফিকেশনে তার নাম থাকার কারণে আবারও তার নাম ভোটার তালিকায় উঠে। কিন্তু গত মার্চ মাসে পুলিশ তাকে আটক করে। আইনজীবী সৌমেন বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘যেভাবে এই মামলাগুলো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে’। আসামে ১৯৫১ সালের পর প্রথমবারের মত জাতীয় নাগরিক পঞ্জী হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকবে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানে বসবাসরত লক্ষ বাংলাভাষী মানুষ। রাজ্যের ছয়টি জেলের ভেতরেই তৈরি হয়েছে বন্দীশিবির। সেখানে আটক রয়েছেন প্রায় ৮৯৯ জন এবং এদের প্রায় সকলেই বাংলাভাষী।