বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চলতি মওসুমে রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, রংপুর অফিস : চলতি মওসুমে রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় পাট চাষ সফল হয়নি। জেলাগুলো হচ্ছে-রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এবং নীলফামারী। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চলতি মওসুমে রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় দেশী, তোষা এবং মেস্তা জাতেরসহ মোট ৬১ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৬৫ বেল পাট উৎপন্নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে মওসুমের শুরুতেই বৈরি অবহাওয়া এবং গোটা মওসুম জুড়ে চাষিদের অনাগ্রহের ফলে পাট চাষ হয়েছে মাত্র ৪৮ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমিতে। 

জেলা ওয়ারী প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে- রংপুর জেলায় দেশী ২ হাজার ১৫০ এবং তোষা জাতের ৯ হাজার ৩২০ হেক্টরসহ মোট ১১ হাজার ৪৭০ হেক্টরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। চাষ হয়েছে দেশী ১ হাজার ৩৯০ এবং তোষা জাতের ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টরসহ মোট ৮ হাজার ৩০ হেক্টরে।

 গাইবান্ধা জেলায় দেশী ৪০০ এবং তোষা জাতের ১২ হাজার ৩৯০ হেক্টর সহ মোট ১২ হাজার ৭৯০ হেক্টরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। চাষ হয়েছে দেশী ৩৩০ এবং তোষা জাতের ১১ হাজার ৬৪৫ হেক্টরসহ মোট ১১ হাজার ৯৭৫ হেক্টরে।

কুড়িগ্রাম জেলায় দেশী ৯৫০, মেস্তা ৩০ এবং তোষা জাতের ২১ হাজার ১৫০ হেক্টরসহ মোট ২২ হাজার ১৩০ হেক্টরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। চাষ হয়েছে দেশী ৩৩৬, মেস্তা ৪০০ এবং তোষা জাতের ১৫ হাজার ৭১ হেক্টরসহ মোট ১৫ হাজার ৮০৭ হেক্টরে। 

 লালমনিরহাট জেলায় দেশী ৫৮০ এবং তোষা জাতের ৪ হাজার ২০০ হেক্টর সহ মোট ৪ হাজার ৭৮০ হেক্টরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। চাষ হয়েছে দেশী ৩০৫ এবং তোষা জাতের ৩ হাজার ৬৭০ হেক্টরসহ মোট ৩ হাজার ৯৭৫ হেক্টরে।

এবং নীলফামারী জেলায় দেশী ১ হাজার ২১৫ এবং তোষা জাতের ৯ হাজার ২৪০ হেক্টর সহ মোট ১০ হাজার ৪৫৫ হেক্টরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। চাষ হয়েছে দেশী ১ হাজার এবং তোষা জাতের ৮ হাজার ১৬০ হেক্টরসহ মোট ৯ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে। এর ফলে এসব জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে পাট চাষ কম হওয়ায় এই অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমে প্রায় সাড়ে ৯১ হাজার বেল পাট উৎপন্নের সম্ভাবনা রয়েছে।  

এই অঞ্চলে পাট চাষ কম হওয়ার ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, চলতি মওসুমের শুরুতেই এই অঞ্চলে অতি বৃষ্টির ফলে অনেক চাষি সময়মত পাট চাষ করতে পারেনি। এছাড়া গত বছর ধানের দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা এবারে পাট চাষের তুলনায় ধান চাষে বেশি উৎসাহি হয়ে ওঠে। ফলে চলতি মওসুমে এই অঞ্চলে পাট চাষ কম হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ