শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

১৪ মাস বন্ধ থাকার পর আশুগঞ্জ সার কারখানায় ফের উৎপাদন শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা: দীর্ঘ ১ বছর ২ মাস গ্যাস সংকটের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার থেকে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার ভোর থেকে এর উৎপাদন শুরু হয়। কারখানা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ১২শ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
সেচ মৌসুমে দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে গত বছরের ১৯ এপ্রিল আশুগঞ্জ সার কারখানার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
জানা গেছে কারখানাটি পুরো মাত্রায় চালু রাখতে প্রয়োজন হয় ৪৮ থেকে ৫২ এম.এম সিএফ গ্যাস। তবে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না পাওয়ায় কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়।
এদিকে কারখানার উৎপাদর বন্ধ করার পর থেকেই পুনরায় গ্যাস সরবাহের দাবিতে একাধিকবার কারখানায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরে গত ১৩ জুন কারখানায় পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। কয়েকদিন চেষ্টার পর গতকাল সোমবার ভোর থেকে উৎপাদনে ফিরে সার কারখানা।
এ ব্যাপারে বিসিআইসির পরিচালক (কারিগরি) প্রকৌশলী মোঃ আলী আক্কাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ ১৪ মাস গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পর গতকাল  সোমবার  ভোর থেকে কারখানার উৎপাদন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানায় সারের বর্তমানে মজুদ শুন্যের কোঠায় থাকলেও বিদেশ থেকে আমদানি করা সার দিয়ে কারখানার কমান্ড এরিয়াভুক্ত ৭জেলায় সার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। বতর্মানে কারখানায় বিদেশ থেকে আমদানি করা সারের মজুদ ৩০ হাজার মেট্রিকটন।
নবজাতকের লাশ উদ্ধার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ড্রেন থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত  রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের হাসপাতাল পাড়ার একটি  ড্রেন  থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে হাসপাতাল পাড়া এলাকার একটি  ড্রেনে নবজাতকের লাশ পানিতে ভাসতে  দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ