ফটিকছড়িতে সর্তার করাল গ্রাসে মসজিদ
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : সর্তাখালের অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে ফটিকছডড়ির ধর্মপুর তুলাতলী জামে মসজিদ। ভাঙনের ফলে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে মসজিদের সীমানাপ্রাচীর। এছাড়াও খিরাম-ধর্মপুর সড়ক, ধর্মপুর ও খিরার এলাকার শতাধিক বাড়িঘরসহ শত একর ফসলি জমি সর্তাখালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদটি সর্তাখালে হারিয়ে যেতে আর মাত্র ৫ ফুট বাকি। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে মসজিদের সীমানা প্রাচীর এবং খালের বুকে ধসে পড়েছে মসজিদের আঙ্গিনার গাছপালা।
ঐ মসজিদের মুসল্লী শামসুল আলম বলেন, বিগত ২০ বছর আগেও এই এলাকার মুসল্লীরা ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নামাজ আদায় করতে যেতেন। এই মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পর তারা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করছেন। এখন মসজিদটি খালে ধসে গেলে পুনরায় সেই কষ্ট পোহাতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদকর্মী শাহ নেওয়াজ নাজিম বলেন, দু'বছর আগেও মসজিদ থেকে সর্তাখালের অন্তত ৫০ গজ দুরত্ব ছিল। গত বছর আর এবছরের টানা বর্ষণে আর পাহাড়ী ঢলে খালের অতিরিক্ত ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক বসতবাড়ি ও সড়কসহ শত একর ফসলি জমি খালের পেটে চলে গেছে। এখনো হুমকির মুখে রয়েছে শত শত পরিবার। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না আসলে আগামীতে এর ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। স্থানীয়রা জানান, মসজিদটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মসজিদে দেড় শতাধিক মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করেন। এবার রমজানে ৫জন মুসল্লী এতেকাফ করছেন। এই এলাকায় ১কিলোমিটারের মধ্যে আর কোন মসজিদ নেই। মসজিদটি বিলীন হয়ে গেলে এই এলাকার দেড় শতাধিক মুসল্লির নামাজ আদায় ব্যাহত হবে।
ধর্মপুর ইউ.পি চেয়ারম্যান এম.এ. কাইয়ুম বলেন, এব্যাপারে আমি এখন অবগত হয়েছি। আগে কেউ আমাকে জানায়নি। গতবছর বন্যায় খিরাম-ধর্মপুর সড়কের মসজিদ সংলগ্ন অংশ সর্তাখালে বিলীন হয়ে গেলে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখন মসজিদ রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।