শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশুদের মা-বাবা’র কাছে ফিরিয়ে দিতে ডিএনএ পরীক্ষা

৬ জুলাই, সিবিএস : মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মাঝে তাদের শিশুদের ফিরিয়ে দিতে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিণ কর্মকর্তারা। মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার বলেন, আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা দরকার। সাধারণ প্রক্রিয়া খুবই ধীরগতির।

ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র আওতায় অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আটক অভিযান ও মামলার জেরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি শিশু। শিশুরা আইনের চোখে অপরাধী না হওয়ায় তাদেরকে আটক মা-বাবার কাছ থেকে করা হয়। মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা বলেছেন, ৫ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ২০৬ জন বাবা-মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৪২ জন শিশুকে। তুমুল সমালোচনা ও চাপের মুখে বিচ্ছিন্নকরণ ঠেকাতে ‘পরিবারকে একত্রিত রাখা’র এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। তবে সেই আদেশেও ইতোমধ্যে বিচ্ছিন্ন হওয়া এই দুই সহস্রাধিক শিশুর ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজার বলেন, প্রায় ১০০ জন শিশুর বয়স পাঁচ বছরেরও কম। তবে মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, সরকার অন্য কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এই পরীক্ষা করতে পারে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শিশুদের বয়স উপযুক্ত নয়। অনেক কম।

তবে আদালত রায় দিয়ে দেওয়ায় ৪ বছরের কম শিশুদের ১০ জুলাই ও পাঁচ বছরের কম শিশুদের ১৭ থেকে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আজার বলেন, জন্মরেকর্ড পর্যালোচনা করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পুরাতন পদ্ধতি বেশ সময়সাপেক্ষ। এই প্রক্রিয়ায় গেলে আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। 

এই মুহূর্তে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ৩ হাজার শিশুর মধ্যে ১১ হাজার ৮০০ শিশু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে জানান আজার।তিনি বলেন, কয়েকজন শিশু হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পরিবার আসার আগে বা পরেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

অভিবাসন অধিকারকর্মীরা বলেন, মার্কিন সরকার ডিএনএ নমুনা পাওয়ার পর এর অপব্যবহার হতে পারে। একজন অভিবাসী কোথায় লুকিয়ে আছে সেটাও বের করা সম্ভব।

অভিবাসন অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জেনিফার ফ্যালকন এক টুইটবার্তায় বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আবারও এটাই প্রমাণ করলো যে শিশুদের পরিবারে কিভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে সেই সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই প্রশাসনের।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ