পিয়ংইয়ংয়ে পম্পেও-চোল বৈঠক
৬, জুলাই, রয়টার্স : কোরীয় যুদ্ধে নিখোঁজ মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ ফেরতের প্রক্রিয়া নিশ্চিত এবং পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে প্রাথমিক চুক্তির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও।
জাপানে বিরতি নেওয়ার পর গতকাল শুক্রবার পিয়ংইয়ং নামার পর পম্পেও উত্তর কোরীয় কর্মকর্তা কিম ইয়োং চোলের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয় দফা উত্তর কোরিয়া সফর করছেন পম্পেও।
চোলের সঙ্গে দুপুরের খাবার দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এবারের দেড় দিনের সফর শুরু হবে বলে।
পম্পেওর সঙ্গে চোলের বৈঠক কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উনের দেখা হবে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুক্রবার রাতে কিম পিয়ংইয়ং থাকছেন বলে তার সফরসূচিতে উল্লেখ আছে।
সিঙ্গাপুরে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে চোল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
ওই সম্মেলনেই কিম কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে কাজ করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও কতদিনে এবং কী প্রক্রিয়ায় এই নিরস্ত্রীকরণ হবে তার বিস্তারিত বলেননি এ উত্তর কোরীয় নেতা।
“ চেয়ারম্যান কিম উত্তর কোরিয়ার জনগণের জন্য পৃথক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন বলে বিশ্বাস (মার্কিন) প্রেসিডেন্টের। এটা সত্য বলেই প্রত্যাশা আমাদের দুজনের,” আকাশে থাকা অবস্থায় ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর টুইটারে দেওয়া মন্তব্যে জানান পম্পেও।
কিমের প্রতিশ্রুতির শূন্যস্থান পূরণ ও সিঙ্গাপুরের শীর্ষ সম্মেলনে হওয়া চুক্তি বাস্তবায়নে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই কিম এ সফর করছেন বলে জানিয়েছেন সফরসঙ্গী সাংবাদিকরা।
এবারের সফরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর প্রাথমিক তালিকা দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ওই তালিকা ধরে পরে কেন্দ্রগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।
১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত হওয়া কোরীয় যুদ্ধে নিখোঁজ দুইশর মতো মার্কিন সৈন্যর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটিও সফরের আলোচ্যসূচিতে থাকছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়া মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট; যদিও সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।