শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মাদারীপুরে ইউপি ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট বদলে দেয়ার অভিযোগ

মাদারীপুর  সংবাদদাতা : মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বহলুল হোসেন আকনের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট বদলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার এ দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে বিচার প্রার্থনা করে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন একই ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামের মো. গোলাম অদুদ সিকদার নামের এক ভূক্তভোগী বৃদ্ধ।

ভূক্তভোগী অদুদ সিকদারের দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৮৫ নং চরনাচনা মৌজার আর.এস ২১৫ নং খতিয়ানে ১৭২০/১৭২২/১৭২৩/১৭৩১/১৭৩২/১৭৫৬ নং দাগে ৩৮১ শতাংশ জমির মালিক সমশের হাওলাদার গং। তিনি ঐ জমির ৮ আনা অংশের স্বত্তবান ও দখলদার হিসেবে বিগত ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর ৫০৪৯/৫০৫২/৫০৬৭ নং দলিলে  এবং ঐ বছর ২২ নভেম্বর ৬২৭০ নং ২৮.২.১৯৭৭ তারিখে ১৩৮৯ দলিলে ১৭৫ শতাংশ জমি মো. গোলাম অদুদ সিকদার গংএর কাছে বিক্রি করেন এবং দখল বুঝিয়ে দেন। তখন থেকে ঐ জমির স্বত্তবান হয়ে প্রায় ৪১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন মো. গোলাম অদুদ সিকদার গং। স্বত্তবান থাকা অবস্থায় বি.আর.এস জরিপে ৬৭ নং খতিয়ানে তারা ৩ ভাই প্রত্যেকের নামে ৯৮ শতাংশ করে জমি রেকর্ড হওয়ায় তারা মাদারীপুর সহকারী জজ আদালতে (৭১/১৮ ভূক্তে) স্বত্তঘোষণাসহ একটি বন্টন মোকদ্দমা দায়ের করেন। ঐ মোকদ্দমায় প্রতিপক্ষ জহুরুল হককে ৩ নং বিবাদী করা হয়। তিনি মোকদ্দমায় হাজির না হয়ে চলতি বছর ২১ মার্চ এডিএম কোর্টে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত পরবর্তীতে মাদারীপুর সদর এসিল্যান্ডকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এসিল্যান্ড নিজে না গিয়ে কালিকাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বহলুল হোসেন আকনকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। গোলাম অদুদ সিকদার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বহলুল হোসেন আকন প্রতিপক্ষ জহুরুল হকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়ে বিবদমান জমি ৪১ বছর ধরে অভিযোগকারীদের দখলে থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এ বিয়য়ে গত ৭ জুলাই গোলাম অদুদ সিকদার মৌখিকভাবে সদর এসিল্যান্ডকে জানান। এসিল্যান্ড বহলুল হোসেন আকনকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘আমার উপরে চাপ আছে।’  কালিকাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বহলুল হোসেন আকন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব মিধ্যে ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। একপক্ষ আমাকে হেয় করতে এমন অভিযোগ তুলছে। তারা আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তুলছে তার সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।’ মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বহলুল হোসেন আকনের বিরুদ্ধে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা থাকে, তবে অবশ্যই অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ