বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশী নারী আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশী এক নারী আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরো  করে লাগেজের ভেতর ভরে ডোবায় ফেলে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী। সাজেদা ই বুলবুল (২৯) পাসপোর্ট নাম্বার (বিএ ০৭৩২৫৭০) নামে ঐ নারী আইনজীবী পটুয়াখালির সদর পুরাতন আদালতপাড়ার মো. আনিস হাওলাদারের (ফিটার) কনিষ্ঠ  কন্যা। গত ৫ জুলাই স্ত্রীকে নৃশংস হত্যার পর ঘাতক স্বামী শাহজাদা সাজু পালিয়েছে। মালয়েশিয়া পুলিশ তাকে খুঁজছে।
নিহত সাজেদা ই বুলবুলের বোন খাদিজাতুল পারভীন  জানান, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এলবি এবং  এল এম পাস করেন তার বোন সাজেদা। পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর  ঘটকের আন্দুয়া  এলাকার সোহরাব ফকিরের পুত্র শাহজাদা সাজুর সাথে বিয়ে হয় সাজেদার। তাদের সংসারে মুগ্ধ নামের সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘাতক শাহজাদা তার স্ত্রীকে উচ্চতর পড়াশুনা করার প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মালেয়েশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে নিজে প্রতিষ্ঠিত হলে তার স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ তৈরি করে দেয়নি।
উপমা আরো জানান, নিয়মিত নির্যাতন করা হতো তার বোনের উপর। তাকে দুই তিন দিন পর পর খাবার দেয়া হতো। এসব ঘটনা সাজেদা তার বাবা মাকে মাঝে মাঝে জানাতো। এক পর্যায়ে  সাজেদার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে শাহজাদা। বাংলাদেশ থেকে  নির্যাতনের জন্য শাহজাদাকে উস্কে দিতো তার মা মামাসহ অন্যানরা।
নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদার নির্যাতন সইতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাসায় পলিয়ে যায় সাজেদা। সেখানে ২/৩ দিন থাকার পর স্বামী শাহজাদা ক্ষমা চেয়ে আর নির্যাতন করবে না এ শর্তে  ঘরে ফিরে আনার পর পরই নৃশংস খুনের শিকার হয় সে।  ঘাতক শাহজাদা নৃশংসভাবে খুনের পর সাজেদার লাশ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পুলিশ লাগেজ ভর্তি লাশ উদ্ধার করে। এদিকে সাজেদার খুনের ঘটনায় তার পরিবার জানার পর শোকের মাতম দেখা দিয়েছে।
কুয়ালালামপুর পুলিশ প্রধান দাতুকে সেরি মাজলান লিজিম সে দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, ৩০ বছরের এই তরুণীকে হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরো করে লাগেজে ভরে ফেলে দেয়া হয়। পুলিশ লাগেজ ভর্তি লাশ উদ্ধার করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ