আগরতলা মামলায় টমাস উইলিয়াম এসেছিলেন বেগম জিয়ার মামলায় কার্লাইল আসতে পারলেন না কেন?
লর্ড কার্লাইলকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাকে ভারতেও ঢুকতে দেওয়া হলো না। ভারতে ঢুকেও তাকে তৎক্ষণাৎ ফেরত যেতে হলো। এ যেন পত্র পাঠ বিদায়। বুধবার রাত ১০টায় ইংল্যান্ড থেকে তিনি দিল্লি বিমান বন্দরে নামেন। কিন্তু বিমান বন্দর থেকে তাকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশনেই তাকে বসিয়ে রাখা হয়। লর্ড কার্লাইলের দেখাশোনার জন্য যে মহিলা বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন তিনি ইমিগ্রেশনকে বলেন যে, লর্ড কার্লাইলকে তো ভারত ভিসা দিয়েছে। সেই ভিসা নিয়েই তিনি দিল্লি এসেছেন। এখন তাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? উত্তরে বলা হয় যে, তাকে ভিসা দেওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু এর মধ্যে ভারত সেই ভিসা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সুতরাং তাকে এখন ফেরত যেতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর ফিরতি ফ্লাইটে তাকে ইংল্যান্ড ফেরত পাঠানো হয়।
ইমিগ্রেশনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, কার্লাইলকে ভিসা দিয়ে আবার সেটি প্রত্যাহার করা হলো কেন? উত্তরে বলা হয় যে, ভিসা ফর্ম পূরণ করার সময় তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি যে, তিনি কেনো ভারত সফরে এসেছেন। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে, তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করার জন্য দিল্লি আসছেন। দিল্লির যে হলটিতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন সেই হলের কর্তৃপক্ষ সেখানে কার্লাইলকে সংবাদ সম্মেলন করার অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বলা হয় যে, সে খবরও বিশিষ্ট আইনজীবী এবং ইংল্যান্ডের লর্ড সভার দীর্ঘ দিনের সদস্য লর্ড কার্লাইল জানেন। তাই তার জন্য ভিন্ন একটি স্থানে তার সংবাদ সন্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তখন বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন বলে যে, এত কথা তাদের জানার কথা নয়। যেহেতু তার ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে সেই জন্য তাকে ফিরতি ফ্লাইটেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো কেনো তিনি দিল্লি এসেছিলেন? আর কেনোই বা তার ভিসা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করা হলো? সেটি জানতে একটু বাংলাদেশের দিকে তাকাতে হবে। গত ১০ জুলাই মঙ্গলবার একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির সংবাদে বলা হয় যে, লর্ড কার্লাইল দিল্লিতে আসছেন এ খবর জানাজানি হওয়ার পরই ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন ভারতের কাছে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। এমনকী, দু-তিনদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ভারত সফরে এসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর এবং রাম মাধবের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাতের সময় প্রসঙ্গটি উঠিয়েছেন।
॥দুই॥
লর্ড কার্লাইলকে ভারতে এসে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি সম্পর্কে ঢাকার পক্ষ থেকে যে যুক্তি দেয়া হয়েছে সেটি এরকম - লর্ড কার্লাইল খালেদা জিয়ার হয়ে মামলা লড়তে আর্থিকভাবে চুক্তিবদ্ধ। ফলে দিল্লিতে তিনি যে সব কথা বলতে আসছেন সেগুলো একটা ‘পেইড রাজনৈতিক ক্যাম্পেনে’র অংশ -যার নিশানা হল বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার পক্ষ থেকে এমন কথাও বলা হয়েছে যে এখন বাংলাদেশ যেভাবে তাদের ভূখন্ডকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হতে দেয়া হয় না, সেভাবে ভারতেরও উচিত নয় দিল্লির মাটিকে বাংলাদেশ-বিরোধী প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হতে দেওয়া।
বাংলাদেশের একটি শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্র বিবিসি বাংলাকে এমনও বলেছেন, “লর্ড কার্লাইল ভারতে এসে তাজমহল বেড়াতে যান, ইন্ডিয়া গেটে হাওয়া খান - আমাদের কিছুই বলার নেই। কিন্তু দিল্লি সফরকে তিনি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারে কাজে লাগান তাও আবার পয়সা নিয়ে সেটা মোটেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনও ভাল সঙ্কেত দেবে না।”
লর্ড কার্লাইল চেয়ে ছিলেন ১৩ জুলাই দিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব বা এফসিসিতে তিনি মিডিয়ার মুখোমুখি হবেন এবং সেভাবে ওই ক্লাবের মিলনায়তনটি প্রাথমিকভাবে বুকিংও করে রেখেছিলেন। কিন্তু ওই একই দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতও ক্লাবে আসছেন, এই যুক্তিতে শেষ মুহূর্তে এফসিসি তার বুকিং বাতিল করে দিয়েছে। ফলে লর্ড কার্লাইল এখন দিল্লিতেই অন্য কোনও জায়গায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হচ্ছেন - আর তার দিনটাও একদিন এগিয়ে এনে ১২ জুলাই বৃহস্পতিবার করা হয়েছে। তবে লন্ডনে বিমানে ওঠার আগে তিনি বিবিসিকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছেন, তার দিল্লি সফর মোটেও বাতিল হচ্ছে না - এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা নিয়ে তিনি কথা বলতে চান, সেটাও দিল্লিতে অবশ্যই বলবেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার কোথায়, কটার সময় তিনি মিডিয়ার মুখোমুখি হবেন - সেগুলো এখনও প্রকাশ করা হয়নি, যাতে এফসিসি’র মতো তারাও না শেষ মুহূর্তে কোনও কারণে বেঁকে বসে। গত সোমবার লর্ড কার্লাইল বিবিসিকে বলেন, তার ভারতীয় ভিসা হয়ে গেছে। আসলে ব্রিটিশ নাগরিকরা এখন ভারতে যাওয়ার জন্য সফরের অনেক আগেই ই-ভিসা বা ইলেকট্রনিক ভিসার আবেদন করে রাখতে পারেন, আর সচরাচর তা মঞ্জুরও হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি।
ফলে ধারণা করা হচ্ছে, লর্ড কার্লাইলের ভিসার অবেদনেও ভারতের সিলমোহর পড়ে গেছে অনেক আগেই। আর একজন প্রবীণ ব্রিটিশ লর্ড ও বিখ্যাত আইনজীবীর ভিসা বাতিলের যুক্তি খাড়া করাও ভারত সরকারের জন্য মুশকিল। দিল্লির সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই কারণেই বাংলাদেশ সরকারের স্পষ্ট আপত্তি সত্ত্বেও দিল্লি কিন্তু লর্ড কার্লাইলের ভারত সফর বাতিল করতে পারছে না। কিন্তু সরকারি মহলের প্রভাব খাটিয়ে দিল্লিতে তার কর্মসূচিতে বাধা তৈরি করার চেষ্টা একটা আছে, সেই ইঙ্গিত রয়েছে।
ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে ভারতে আসতে না দিলে প্রমাণিত হবে বেগম খালেদা জিয়ার সাজার পেছনে সে দেশের অর্থাৎ ভারতীয় হাইকমিশনের নেপথ্য ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রবিবার (৮ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘লর্ড কার্লাইল নয়াদিল্লি সফরে এসে ১৩ জুলাই ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্য রাখার কথা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও কারাদন্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বক্তব্য দেয়ার কথা। যদি ঢাকাস্থ হাইকমিশনের জোরালো সুপারিশের কারণে লর্ড কার্লাইলের ভিসা দেয়া না হয় তাহলে এটা প্রমাণিত হবে যে, বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাদন্ড দিতে হাইকমিশনের নেপথ্য ভূমিকা রয়েছে।’ ‘ভারতীয় হাইকমিশনের এই ভূমিকা দুঃখজনক এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আগ্রাসী হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশের একটি ভোটার বিহীন সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের ভূমিকা ঔপনিবেশিক শাসকদের ন্যায়, যেন তারা বাংলাদেশে তাদের প্রতিভূদের টিকিয়ে রাখতে উঠে পড়ে লেগেছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন যদি ঔপনিবেশিক শাসনের গভর্নর হাউজে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন ও সার্বভৌমত্ব অতি দুর্বল।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গত ১০ জুলাই মঙ্গলবার একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকায় নয়া দিল্লির একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আইনী পরামর্শক লর্ড কার্লাইলকে ভারতে ঢোকার অনুমতি না দিতে নয়াদিল্লীতে জোরালো সুপারিশ পাঠিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিকট আমাদের জিজ্ঞাসা, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের এখন কোন দলের মুখপাত্র?’
॥তিন॥
এখন বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের জোর সুপারিশে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির সরকার লর্ড কার্লাইলকে ইস্যু করা ভিসা প্রত্যাহার করেছেন এবং ভারতের মাটিতে অবতরণ করার পরেও ফিরতি ফ্লাইটে তাকে লন্ডন পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য সত্যি প্রমাণিত হয় কিনা সেটি পাঠক বন্ধুরা ঠান্ডা মাথায় বিবেচনা করবেন। যারা বলেন যে আওয়ামী সরকার এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারের মধ্যকার সম্পর্ক শিথিল হয়েছে তারা এই ঘটনাটি ঠান্ডা মাথায় বিবেচনা করবেন এবং ভেবে দেখবেন যে, সম্পর্ক কি সত্যি সত্যিই শিথিল হয়েছে? নাকি আরো দৃঢ় হয়েছে?
ভারত সরকারের এই আচরণ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তারা বিএনপির ও ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী বৃটিশ ‘হাউজ অব লর্ডস’ এর সদস্য লর্ড কার্লাইলকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়ার খবর জেনে আমরা বিস্মিত হয়েছি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে মুক্ত চিন্তা অনুশীলনের সাথে এই ঘটনা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে আমরা মনে করি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে এদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনে যে বাধা সৃষ্টি করেছে তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য বিশ্বখ্যাত আইনজীবী লর্ড কার্লাইল দিল্লীতে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ভিসা না দেয়ার কারণেই লর্ড কার্লাইল ভারতে আসতে চেয়েছিলেন। তাঁকে ভারতে প্রবেশ করতে না দেয়ায় আমরা মর্মাহত। আমরা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশে চলমান স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের অব্যাহত আন্দোলনের প্রতি মুক্ত বিশ্বের সমর্থন থাকবে।
তবে এ ব্যাপারে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রাক্তন মন্ত্রী ড. মঈন খান। ভারত কেনো কার্লাইলকে ঢুকতে দিলো না সেই প্রশ্নের চেয়েও তার কাছে যেটি বড় প্রশ্ন মনে হয়েছে সেটি হলো কার্লাইলকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হলো না কেন? তিনি বলেন, লর্ড কার্লাইল ভারতের ভিসা পাননি। লর্ড কার্লাইল কেন ভারতের ভিসা নেবেন। তাকে কেন বাংলাদেশে আসতে দেয়া হলো না? আমরাতো তাকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছি। আওয়ামী লীগ কি নিজেদের ইতিহাস ভুলে গেছে? আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বিদেশ থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেয় নি তারা? তাকে তো তখন বাংলাদেশে আসতে বাধা দেয়া হয় নি! তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য তারা আগারতলা ষড়যন্ত্র মামলায় টমাস উইলিয়ামকে নিয়োগ করেছিল। আমরা তো খালেদা জিয়ার জন্য লর্ড কারলাইলকে আইনজীবী নিয়োগ করেছি। তাহলে তাকে কেন বাংলাদেশে আসতে দেয়া হল না। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, তিনি তো আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাহলে তাকে কেন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি পরামর্শ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি? কেন তাকে বাংলাদেশের ভিসা দেয়া হয় নি? দেশের প্রত্যেকটি মানুষের গণতান্ত্রিক, আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে সেটি দেয়া হচ্ছে না। তার জন্য নিয়োগ দেয়া আইনজীবীকেও আসতে দেয়া হচ্ছে না। আসলে সরকার চায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আবারও ২০০৮ ও ২০১৪ সালের মতো পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে গৃহপালিত বিরোধী দল বানাতে। কিন্তু সরকারের সেই প্রচেষ্টা কখনও সফল হবে না।
Email: asifarsalan15@gmail.com