খুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ বঞ্চিত ক্ষুদে শিক্ষার্থী
খুলনা অফিস : ত্রিশ লাখ শহীদ স্মরণে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বুধবার শুরু হয়েছে। খুলনার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগানো হবে গাছ। জেলায় ৬০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তারা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো চারা বরাদ্দ করা হয়নি।
জানা গেছে, খুলনা জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রিশ লাখ শহীদ স্মরণে বৃক্ষরোপন করা হয়। একযোগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই শুরু করা হয় এ কর্মসূচি। জেলায় সর্বমোট ১ হাজার ৮৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো বৃক্ষরোপণ করবেন নিজেদের তত্ত্বাবধানে। শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১ হাজার ১৫৭টি। যেখানে গাছ লাগানো হবে সরকারি ব্যবস্থাপনায়। প্রতিটি স্কুলের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য একটি করে গাছ বরাদ্দ করা হয়েছে। একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে একটি গাছ লাগাবে। যেখানে থাকবে শ্রেণির নাম সংযুক্ত। সেই গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করাও তাদের দায়িত্ব। আর কোনো বিদ্যালয়ে গাছ লাগানোর জায়গা না থাকলে স্কুলের পার্শ্ববর্তী স্থানে রোপণ করতে পারে। তবে যাই হোক শহীদ স্মরণে গাছ লাগাতে পারছেন না প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। কেননা তাদের জন্য গাছ বরাদ্দ করার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এদিকে জেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় সামাজিক বন বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার নয়টি উপজেলায় ৬০ হাজার বৃক্ষরোপণের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ সরবরাহের জন্য ১৪ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ সরবরাহ করেছে বন বিভাগ। সরবরাহকৃত গাছের মধ্যে ফলজ, বনজ ও ওষধি বৃক্ষ রয়েছে।
মহানগরের বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুর রহমান বলেন, মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমবেশি করে গাছ সরবরাহ করা হয়েছে। মহানগরীতে ৯ হাজার ৭৩০টি গাছ সরবরাহ করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানা শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সদর থানার ৮২টি স্কুলে গাছ দেয়া হয়েছে। সেগুলো সমন্বয় করে সদর থানার সর্বমোট ১২৬টি স্কুলে বৃক্ষরোপণ করা হবে।
খুলনা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, তার প্রতিষ্ঠানে দুইশ’ গাছের চারা রোপণ করা হবে।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ পোদ্দার বলেন, প্রতিটি স্কুলের প্রতিটি ক্লাসের জন্য একটি করে চারা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। কোনো স্কুলে জায়গা না থাকলে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাসায়ও লাগানো যাবে।