খুলনায় ফটো সাংবাদিক শেখ শান্তর উপর সন্ত্রাসী হামলা তিনজন গ্রেফতার
খুলনা অফিস : দৈনিক ভোরের কাগজ ও স্থানীয় সংযোগ বাংলাদেশ পত্রিকার ফটো সংবাদিক শেখ শান্ত ইসলাম সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছে। নগরীর খালিশপুরস্থ বৈকালী ইউসেফ স্কুল সংলগ্ন এস এম পয়েন্ট কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শান্ত ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যাওয়ার পথে ইউসেফ স্কুলের সামনে এস এম পয়েন্ট কেয়ার এ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বিপরিত মুুখী ঋশিল্পী ফিজিও থেরাপী এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের ডাক্তার ও কর্মচারীরা একটি প্রাইভেট কার এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল সড়কের উপর যত্রতত্রভাবে রেখে যাতায়াতের বিঘœ ঘটায়। তিনি এ সময় প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলগুলো ফাঁকা স্থানে রেখে জনগণের চলাচলে বিঘœ না ঘটানোর জন্য অনুুরোধ জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র্র করে এস এম পয়েন্ট কেয়ার এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভিতর থেকে কয়েকজন ডাক্তার ও কিছু বখাটে যুবক এসে তার সাথে তর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করে। এতে তার ডান চোখ ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। সন্ত্রাসীরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ সময় তার নিজস্ব ক্যামেরা দিয়ে ফটো তুলতে গেলে সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার উপর আছড়ে ফেলে। সংবাদ পেয়ে সহর্কর্মীরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা ঋশিল্পী ফিজিও থেরাপী এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের ভিতরে পালিয়ে যায়। সহর্কর্মীরা ক্যামেরা ও মোটরসাইকেলসহ তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে খবর পেয়ে খালিশপুর থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আবুল খায়ের ঘটনাস্থল থেকে ঋশিল্পী ফিজিও থেরাপী এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের নিরাপত্তা কর্মী, এস এম পয়েন্ট কেয়ার এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অফিস সহকারী ও স্থানীয় এক যুবকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বাপ্পি খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, কামরুল আহসান, দেবব্রত রায়, নাজমূল হক পাপ্পু, এম এম মিন্টু, মাঞ্জারুল ইসলাম, আর জি উজ্জল, সাগর সরকার, এম এ হাসান, মো. সোহেল, হেলাল উদ্দিন, মানুম রেজা, মো. শাহ আলম, আব্দুর রাজ্জাক, তুফান গাইন, বাহার উদ্দিনসহ সকল সদস্যরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।