মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি চাষাবাদের চেষ্টা

তালতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা: বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক  সচিব মিহিরকান্তি মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমিদখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে ২৩/০৭/২০১৮ ইং তারিখ বড় আমখোলা গ্রামের মোঃ শাহ আলম মুন্সীর ছেলে মোঃ মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন।
 লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তালতলী উপজেলা বড়আমখোলা গ্রামের ৪২নং বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার এস.এ ৬২,৭২,৪০৩,৬১৭নং খতিয়ানের জমি বিভিন্ন তারিখে আমরা ক্রয় করে বাড়ি ঘর তৈরি করিয়া ভোগ দখলে আছি। উক্ত জমিতে বন্টনের দেওয়ানী মোকদ্দমা ২৬৫/১৫ হইলে বিগত ১/১০/২০১৫ ইং তারিখে রায়, ডিক্রি উকিল কমিশন প্রতিবেদন সহ চুড়ান্ত ডিক্রি পাইয়া দেওয়ানী ডিক্রিজারি ১২/১৭ মোকদ্দমার আদেশ বলে ১৪/০৭/২০১৭ ইং তারিখ আদালত কর্তৃক পুলিশ, নাজির , জারিকারক সহ সরে জমিনে পিলার ও লাল নিশান দিয়ে ঢোল ছুহরাত করে দখল বুঝিয়ে দেন। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ২২৯/১৭ মোকদ্দমা দায়ের করে নিষেধাজ্ঞা দাবী করলে মহামান্য আদালত উক্ত জমিতে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করে। কিন্তু উক্ত আদেশের তোয়াক্কা না করে মিহিরকান্তি মজুমদার তাহার বাহিনী মোঃ ফারুক খান, মোঃ আলমগীর মোল্লা ও মোঃ সোহেলের দ্বারা উক্ত জমিতে প্রবেশ করে জমি চাষাবাদ করতে গেলে তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে চাষাবাদ বন্ধ করে। পরে তাদের আইনজিবিদের মতামত নিয়ে আসতে বললে তারা মিহির কান্তি মজুমদারের সাথে কথা বলে জানায় যে, আমাদেরকে যে কোন ভাবেই চাষ করতে বলছে।  এ সময় তিনি আরও বলেন, উক্ত ফারুক খান গং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মোস্তফা কামাল আরো জানান যে, আমি বরগুনা পুলিশ সুপার মহোদ্বয়ের নিকট অভিযোগ দিলে পুলিশ সুপার মহোদয় সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ নাজমুল ইসলাম কে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য বললে সে আমাদের উভয়কে নোটিশ করে সরকারি আইনজীবীর মতামত নিয়ে আসতে বললে আমরা উভয় পক্ষ সরকারী আইনজীবির শরনাপন্ন হই। কিন্তু গত ২০ জুলাই পুনরায় উক্ত ফারুক খান গং জমি চাষাবাদের চেষ্টা করলে আমি তালতলী থানায় যাই।
বিষয়টি তালতলী থানাকে অবগত করলে ওসি তদন্ত শহীদুল ইসলাম এস আই জসিমকে দায়িত্ব দেন।এ বিষয় এস আই জসিম জানান, ফারুক খানকে ফোনে চাষাবাদে নিষেধ করলে তিনি আমাকে বলেন উপরের নির্দেশ আছে আপনারা আমাকে ডিষ্টার্ব করেন কেন? এ সময় এস আই জসিম জানায় আমাদের করার কিছু নেই।
এ বিষয় মিহির কান্তি মজুমদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে  তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ