ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

পাঁচ বাস পেল রমিজ উদ্দিন, শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:

বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় যে কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচটি বাস উপহার হিসেবে দিয়েছে সরকার। আর প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

গত ২৯ জুলাই এই প্রাণহানির প্রতিক্রিয়ায় পরদিন থেকে নিরাপদ নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা টানা ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বাসগুলো তুলে দেয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূইয়া এই চাবি তুলে দেন। কলেজের পক্ষে গাড়ির চাবি গ্রহণ করেন ঢাকা অঞ্চলের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল ও কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং লজিস্টিকস এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সরওয়ার হাসান।

দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য এই বাসগুলো দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি এক তলা, একটি দ্বিতল এবং একটি ৩০ আসনের মিনিবাস।

এ সময় কলেজের পক্ষ থেকে ছাত্র এবং শিক্ষক-দুই পক্ষই ছাত্রদের রাস্তা ছেড়ে ঘরে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।

এ সময় জানানো হয় গত ২৯ জুলাইয়ের দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে চারজন ছাড়া বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

বাস পেয়ে দারুণ খুশি শিক্ষার্থীরা। একজন ছাত্র বলেন, ‘অনেক সুবিধা হবে যাতায়াতের জন্য। আমাদের আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না চাপা পড়তে হবে না।’

আরেকজন ছাত্র বলেন, ‘আমরা দুই জনকে হারিয়েছি। আর যেন কাউকে হারাতে না হয়।’

আরেকজন ছাত্রী বলেন, ‘সব সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর আন্দোলনের কিছু নেই। আপনারা ঘরে ফিরে যান।’

কলেজের অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমিন বলেন, ‘একজন অভিভাবক, একজন মা এবং একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সবাইকে অনুরোধ করব, তোমার বাসায় ফিরে যাও, তোমরা পড়াশোনা করো, সড়ক নিরাপদ হোক। আর এই সড়ক নিরাপদ করতে সরকার সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

গত ২৯ জুলাই কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে সড়কের ধারে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস চাপায় নিহত হন রমিজ উদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির রেজাউল করীম রাজীব এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম মিম।

এর পরদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে প্রথমে আন্দোলন শুরু করে রমিজ উদ্দিনের শিক্ষার্থীরা। পরে যোগ দেয় নগরীর অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এক পর্যায়ে তা জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। আর সরকার, নিহত দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বারবার শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানানো হলেও ছাত্ররা রাস্তা ছাড়ছেই না।

ছাত্ররা যেমন রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আছে, তেমনি পরিবহন শ্রমিকরাও আবার শুরু করেছে অঘোষিত ধর্মঘট। তারাও নিরাপত্তহীনতার কথা বলে বাস বন্ধ করে দিয়েছে। তার এতে তৈরি হয়েছে চরম ভোগান্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ