বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসি ও জাতিসঙ্ঘকে মানছে না মিয়ানমার

১১ আগস্ট, রয়টার্স : রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-কে কোনও ধরনের সহযোগিতা করবে না মিয়ানমার। গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে বিশ্ববোসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।

অথচ মিয়ানমার বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার কোনো এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নেই। মিয়ানমার এ সংক্রান্ত কোনো সনদে সই করেনি। রোম সনদের ওপর ভিত্তি করে হেগের আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য ব্যক্তির বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে আইসিসির। সই না করার কারণে মিয়ানমার রোম সনদের কোনো পক্ষ না। তাই নেইপিদোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার আইসিসির নেই।

মামলা পরিচালনায় আইসিসির এখতিয়ার নিয়ে মিয়ানমারের মতামত জানতে চাওয়ার পর দেশটি সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিল।আইসিসির প্রি-ট্রায়াল চেম্বার মিয়ানমারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে বা গোপনীয়ভাবে তিনটি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ জমা দিতে আহ্বান জানিয়েছিল। এর জবাবে মিয়ানমার আইসিসির সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ‘ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা' নিয়েও তাদের উদ্বেগ রয়েছে। দেশটি আরো দাবি করেছে, সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও আইসিসি মিয়ানমারের বিষয়ে তদন্ত শুরু করলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।

গেল বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসঙ্ঘ জানায় সেখানে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর নেতাদেরকে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকতে বলেছেন জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি। বালিতে এ অঞ্চলের ২৬টি দেশের নেতাদের অংশগ্রহণে ‘বালি প্রসেস’ এর সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। 

ফিলিপো বলেন, গেল বছর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে আরো সহায়তা ও সুরক্ষা দিতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের আগ পর্যন্ত আপনাদের সরকারগুলোর উচিত বাংলাদেশের প্রতি সংহতি জানানো। রাখাইন স্টেটের সমস্যার একটি ভালো সমাধানের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান ফিলিপো। যাতে রোহিঙ্গারা নিজ বাসভূমে ফিরে যেতে পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ