বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কোরবানীর পশুর ট্রাকে চাঁদাবাজি করলে কঠোর এ্যাকশন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেছেন, মহাসড়কে কোনোভাবেই কোরবানির পশুর বাজার বসতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া সড়ক-মহাসড়কে গরুবোঝাই ট্রাক থামানো যাবে না।গত শনিবার সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা নিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহর জেলা পুলিশ লাইনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম, জেলা ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির মহা সচিব আবু মোজাফফর আহমেদ এবং জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মুছা ও জেলার বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা। সভায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা ও এ কে এম এমরান ভুঁইয়া এবং জেলার ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন,সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া সড়কে কোরবানির গরুবোঝাই কোনো ট্রাক থামানো যাবে না। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশকে আমরা এই বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। যদি সুনির্দিষ্ট তথ্যও থাকে, সহকারি পুলিশ সুপার কিংবা তদুর্ধ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ট্রাক থামাতে পারবেন মাঠের পুলিশ সদস্যরা।
তিনি বলেন,কোরাবানির গরু পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে যেন কানো অভিযোগ না আসে। এটা একেবারেই শুনতে চাই না। যদি গরুর ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের কোনো তথ্য কেউ দিতে পারেন, অনুরোধ করব, এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন, ছবি তুলে যেন আমাদের দেওয়া হয়, তাহলে কঠোর অ্যাকশন নেব। অনেক সময় পুলিশ সদস্যরা সরাসরি নন, দালালরাও চাঁদাবাজি করেন। সেই তথ্যও যদি আমরা পাই, যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেব।
নূরে আলম মিনা বলেন, কোরবানির আগে অন্তঃত সপ্তাহখানেক সড়ক- মহাসড়কে যানজট আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ জন্য আমরা মহাসড়কে কোনোভবে গবাদি পশুর হাট বসতে দেব না। তিন শিফটে আমাদের তিনহাজার পুলিশ সদস্য চব্বিশ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। হাইওয়ে পুলিশ ও আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। মহাসড়কে যাতে অনুমোদনবিহীন কোনো গাড়ী না চলে, আমরা সেটা দেখবো।
তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের অভিযোগ জানাতে এবং সেবা পেতে যোগাযোগের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে। গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ঈদুল-আযহা ঘিরে যাতে কোনো জঙ্গি কর্মকা- না ঘটে সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক থাকবে। জালনোট ঠেকাতে কোরবানির প্রাণীর প্রত্যেক হাটবাজারে সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা হবে, থাকবে জেলা পুলিশের বুথ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ